ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার গাড়িচালক শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি ১৪ দিনেও গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ। মামলার তদন্তে নেই কোনো অগ্রগতি। এসবের প্রতিবাদে এবং আসামিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় কুমারখালী পৌরসভার সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানবন্ধনের আয়োজন করে এলাকাবাসী। এতে প্রায় শতাধিক নানা বয়সি নারী - পুরুষ অংশ নেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক ফারজানা আখতারের নিকট স্মারকলিপি জমা দেন তারা। এতে স্বাক্ষর করেন অন্তত ৪৮৪ জন মানুষ।
জানা গেছে, কুমারখালী পৌরসভায় বর্তমানে ৫৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত। তাদের ৪২ মাসের বকেয়া মজুরি- মোট ১০ কোটি টাকা এখনও পরিশোধ হয়নি। ১৯ নভেম্বর সকালেই বকেয়া বেতন দাবিতে শহিদুল পৌরসভার বিভিন্ন দপ্তরের কক্ষের দরজা বন্ধ করতে থাকেন। সার্ভেয়ার ফিরোজুল ইসলামের কক্ষটি বন্ধ করতে গেলে দুজনের মধ্যে তর্কের এক পর্যায়ে কিল-ঘুসি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার পর কর্মচারীরা ফিরোজুলকে ১১৫ এবং শহিদুলকে ১১৬ নম্বর কক্ষে আটকে রাখেন। কিছুক্ষণ পর সহকর্মীরা শহিদুলকে কক্ষের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওইদিনই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও স্বজনরা অভিযুক্ত ফিরোজুলের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। রাতে শহিদুলের মেয়ে সুবর্ণা খাতুন বাদী হয়ে ফিরোজুলের নামে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও দুই থেকে তিনজনকে।
এবিষয়ে মামলার বাদী সুবর্ণা খাতুন অভিযোগ করেন, বেতন চাইতে গেলে সার্ভেয়ার ফিরোজুল ইসলাম বাবা কিল-ঘুসি ও লাথি মেরে কক্ষে আটকে রাখে। নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। থানায় হত্যা মামলা করেছি। কিন্তু ১৪ দিনেও পুলিশ আসামি ধরতে পারেনি।
নিহত শহিদুলের ছেলে মারুফ হোসেন বলেন, মামলার তদন্তের কোনো অগ্রগতি নেই। তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৫ দিনের ছুটিতে আছেন। আমরা আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানবন্ধন শেষে ইউএনওর কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আখতার বলেন, শহিদুল হত্যার বিচার চেয়ে স্বজন ও এলাকাবাসী স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। বিষয়টি বিধিমতে উর্ধ্বধন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকেই আসামি পলাতক রয়েছেন। তার ফোন নাম্বারটিও বন্ধ রয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছুটিতে থাকলে আসামি গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার গাড়িচালক শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি ১৪ দিনেও গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ। মামলার তদন্তে নেই কোনো অগ্রগতি। এসবের প্রতিবাদে এবং আসামিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় কুমারখালী পৌরসভার সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানবন্ধনের আয়োজন করে এলাকাবাসী। এতে প্রায় শতাধিক নানা বয়সি নারী - পুরুষ অংশ নেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক ফারজানা আখতারের নিকট স্মারকলিপি জমা দেন তারা। এতে স্বাক্ষর করেন অন্তত ৪৮৪ জন মানুষ।
জানা গেছে, কুমারখালী পৌরসভায় বর্তমানে ৫৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত। তাদের ৪২ মাসের বকেয়া মজুরি- মোট ১০ কোটি টাকা এখনও পরিশোধ হয়নি। ১৯ নভেম্বর সকালেই বকেয়া বেতন দাবিতে শহিদুল পৌরসভার বিভিন্ন দপ্তরের কক্ষের দরজা বন্ধ করতে থাকেন। সার্ভেয়ার ফিরোজুল ইসলামের কক্ষটি বন্ধ করতে গেলে দুজনের মধ্যে তর্কের এক পর্যায়ে কিল-ঘুসি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার পর কর্মচারীরা ফিরোজুলকে ১১৫ এবং শহিদুলকে ১১৬ নম্বর কক্ষে আটকে রাখেন। কিছুক্ষণ পর সহকর্মীরা শহিদুলকে কক্ষের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওইদিনই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও স্বজনরা অভিযুক্ত ফিরোজুলের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। রাতে শহিদুলের মেয়ে সুবর্ণা খাতুন বাদী হয়ে ফিরোজুলের নামে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও দুই থেকে তিনজনকে।
এবিষয়ে মামলার বাদী সুবর্ণা খাতুন অভিযোগ করেন, বেতন চাইতে গেলে সার্ভেয়ার ফিরোজুল ইসলাম বাবা কিল-ঘুসি ও লাথি মেরে কক্ষে আটকে রাখে। নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। থানায় হত্যা মামলা করেছি। কিন্তু ১৪ দিনেও পুলিশ আসামি ধরতে পারেনি।
নিহত শহিদুলের ছেলে মারুফ হোসেন বলেন, মামলার তদন্তের কোনো অগ্রগতি নেই। তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৫ দিনের ছুটিতে আছেন। আমরা আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানবন্ধন শেষে ইউএনওর কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আখতার বলেন, শহিদুল হত্যার বিচার চেয়ে স্বজন ও এলাকাবাসী স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। বিষয়টি বিধিমতে উর্ধ্বধন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকেই আসামি পলাতক রয়েছেন। তার ফোন নাম্বারটিও বন্ধ রয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছুটিতে থাকলে আসামি গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে।