রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) : ধান কাটয়া ব্যস্ত কৃষকরা -সংবাদ
সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার মাঠে মাঠে আমন ধান কাটা, মাড়াই ও ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এলাকার কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছর আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা ভীষণ খুশি। আমন ধান চাষে সেচ খরচ সীমিত ও সারের পরিমাণও কম লাগে। ফলে কৃষকদের আমন ধান চাষে ক্রমশ আগ্রহ বাড়ছে। এদিকে ধানের ফলন ও মূল্য ভালো থাকায় কৃষকের চোখে- মুখে যেন খুশির ঝিলিক বইছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলার ১ টি পৌরসভা ও ৯ টি ইউনিয়নে ১৯০১৪ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। এবছর রিলে পদ্ধতিতে আধুনিক জাতের ব্রি-৮৬, ১০৩, ৯৩ ও বিনা ধান-১৭ জাতের রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আধুনিক জাতের রোপা আমন ধান চাষ করতে প্রতি বিঘা জমিতে ৯ থেকে ১১ হাজার টাকা এবং বোনা আমন ধান চাষ করতে প্রতি বিঘা জমিতে ২৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা ব্যয় হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রতি বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান ১৮ থেকে ১৯ মত এবং বোনা আমন ৮ থেকে ৯ মণ ধান উৎপাদন হয়েছে। যা বর্তমান বাজার অনুপাতে বিঘা প্রতি উৎপাদিত রোপা আমন ধান বিক্রি করে ১৪ থেকে ১৮ হাজার টাকা এবং বোনা আমন ধান বিক্রি করে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা আয় হচ্ছে কৃষকদের। এদিকে ধামাই নগর ইউনিয়নের কুরচা গ্রামের কৃষক আব্দুল হালিম, ধানগড়া ইউনিয়নের আবুদিয়া গ্রামের কৃষক আলম শেখ, রায়গঞ্জ পৌরসভার বেতুয়া মহল্লার কৃষক আব্দুল আহেদ, চান্দাইকোনা ইউনিয়নের বেড়াবাজুয়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম, ঘুড়কা ইউনিয়নের কৃষক বাবুল কুমার সুত্রধর, পাঙ্গাশী ইউনিয়নের কৃষক
ইসমাইল হোসেন বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পরামর্শে নিজেদের শ্রম ও যথাযথ পরিচর্যার ফলে ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ধানের মূল্যও ভালো পেয়েছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, আমন ধান আবাদে পোকা- মাকড়ের উপদ্রব কম। তাছাড়া যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করাসহ রিলে পদ্ধতিতে আমন ধান চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষি অধিদপ্তর নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তিনি আরও জানান, চলতি বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি আমন ধান আবাদ হয়েছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে এবং আশা করছি, এ ধান আবাদে কৃষকরা লাভবান হবে। আগামীতে উপজেলায় আধুনিক জাতের আমনের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) : ধান কাটয়া ব্যস্ত কৃষকরা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার মাঠে মাঠে আমন ধান কাটা, মাড়াই ও ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এলাকার কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছর আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা ভীষণ খুশি। আমন ধান চাষে সেচ খরচ সীমিত ও সারের পরিমাণও কম লাগে। ফলে কৃষকদের আমন ধান চাষে ক্রমশ আগ্রহ বাড়ছে। এদিকে ধানের ফলন ও মূল্য ভালো থাকায় কৃষকের চোখে- মুখে যেন খুশির ঝিলিক বইছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলার ১ টি পৌরসভা ও ৯ টি ইউনিয়নে ১৯০১৪ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। এবছর রিলে পদ্ধতিতে আধুনিক জাতের ব্রি-৮৬, ১০৩, ৯৩ ও বিনা ধান-১৭ জাতের রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আধুনিক জাতের রোপা আমন ধান চাষ করতে প্রতি বিঘা জমিতে ৯ থেকে ১১ হাজার টাকা এবং বোনা আমন ধান চাষ করতে প্রতি বিঘা জমিতে ২৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা ব্যয় হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রতি বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান ১৮ থেকে ১৯ মত এবং বোনা আমন ৮ থেকে ৯ মণ ধান উৎপাদন হয়েছে। যা বর্তমান বাজার অনুপাতে বিঘা প্রতি উৎপাদিত রোপা আমন ধান বিক্রি করে ১৪ থেকে ১৮ হাজার টাকা এবং বোনা আমন ধান বিক্রি করে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা আয় হচ্ছে কৃষকদের। এদিকে ধামাই নগর ইউনিয়নের কুরচা গ্রামের কৃষক আব্দুল হালিম, ধানগড়া ইউনিয়নের আবুদিয়া গ্রামের কৃষক আলম শেখ, রায়গঞ্জ পৌরসভার বেতুয়া মহল্লার কৃষক আব্দুল আহেদ, চান্দাইকোনা ইউনিয়নের বেড়াবাজুয়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম, ঘুড়কা ইউনিয়নের কৃষক বাবুল কুমার সুত্রধর, পাঙ্গাশী ইউনিয়নের কৃষক
ইসমাইল হোসেন বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পরামর্শে নিজেদের শ্রম ও যথাযথ পরিচর্যার ফলে ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ধানের মূল্যও ভালো পেয়েছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, আমন ধান আবাদে পোকা- মাকড়ের উপদ্রব কম। তাছাড়া যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করাসহ রিলে পদ্ধতিতে আমন ধান চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষি অধিদপ্তর নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তিনি আরও জানান, চলতি বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি আমন ধান আবাদ হয়েছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে এবং আশা করছি, এ ধান আবাদে কৃষকরা লাভবান হবে। আগামীতে উপজেলায় আধুনিক জাতের আমনের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।