ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কুমিল্লার হোমনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) (এসিল্যান্ডের) আহমেদ মোফাসের-এর পিকআপ গাড়ীর চাকায় পিষ্ট হয়ে ২বছর বয়সি ফাইজা আক্তার নামের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা পরিষদের ভিতরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফাইজা বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার তেরদ্রন গ্রামের মোঃ ফাইজুল হকের মেয়ে। তার বাবা এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ’র হোমনা উপজেলা মেডিক্যাল প্রমোশান অফিসার (এমপিও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং শিশুটি তার বাবা’র চাকুরীর সুবাদে হোমনা সদরে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে জানা যায়, সকালে শিশু ফাইজা তার মায়ের সাথে হাটছিলেন। সাড়ে ৯টার দিকে এসিল্যান্ডের গাড়ীর চালক মোঃ তাইবুর হোসেন দ্রুত গতিতে গাড়ীটি চালিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনের সড়কে শিশুটিকে ধাক্কা দিলে শিশুটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, তৎক্ষণাৎ তিনি শিশুটি উদ্ধার না করে চাকায় পিষ্ট করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে ফাইজার মায়ের শোরচিৎকারে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল ১০টায় মৃত ঘোষণা করেন।
এঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হোমনা উপজেলা সদরের রাস্তায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেন সাধারণ জনগণ। দোষি ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবীও জানান তারা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হোমনা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহমেদ মোফাসের এবং নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার শহিদুল ইসলাম দ্রুত হোমনা সরকারি হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে শোকাহত বাবা-মাকে শান্তনা দেন এবং নিজেই আবেগাপ্লুত হন।
এসিল্যান্ড আহমেদ মুফাসের সাংবাদিকদের বলেন,“ঘটনার সময় আমি গাড়িতে ছিলাম না। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসি। এই শিশুটি আমার সন্তানও হতে পারত। আমি একজন বাবা হিসেবে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবো।”
টিউলিপ প্রশাসন ইন্সটিটিউটের প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহিম জানান, সকালে ফাইজা তার মায়ের সঙ্গে বিদ্যালয়ে এসেছিল। তার বড় ভাই প্রতিষ্ঠানটির প্লে-গ্রুপের শিক্ষার্থী। এরপর হঠাৎ করেই দুর্ঘনায় শিশুটি মারা যায়।
নিহত শিশুর বাবা মোঃ ফাইজুল হক গাড়িচালকের ফাঁসিসহ সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, আমার কলিজাটাকে মেরে ফেলেছে। আমি সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
ঘটনায় হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ও.সি) মোরশেদুল আলম চৌধূরী বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
শিশু ফাইজার মৃত্যুতে পুরো উপজেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা দ্রুত বিচার নিশ্চিতের পাশাপাশি উপজেলা চত্বরে যানবাহনের গতিনিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন এমএ কাশেম ভূঁইয়া।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
কুমিল্লার হোমনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) (এসিল্যান্ডের) আহমেদ মোফাসের-এর পিকআপ গাড়ীর চাকায় পিষ্ট হয়ে ২বছর বয়সি ফাইজা আক্তার নামের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা পরিষদের ভিতরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফাইজা বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার তেরদ্রন গ্রামের মোঃ ফাইজুল হকের মেয়ে। তার বাবা এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ’র হোমনা উপজেলা মেডিক্যাল প্রমোশান অফিসার (এমপিও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং শিশুটি তার বাবা’র চাকুরীর সুবাদে হোমনা সদরে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে জানা যায়, সকালে শিশু ফাইজা তার মায়ের সাথে হাটছিলেন। সাড়ে ৯টার দিকে এসিল্যান্ডের গাড়ীর চালক মোঃ তাইবুর হোসেন দ্রুত গতিতে গাড়ীটি চালিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনের সড়কে শিশুটিকে ধাক্কা দিলে শিশুটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, তৎক্ষণাৎ তিনি শিশুটি উদ্ধার না করে চাকায় পিষ্ট করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে ফাইজার মায়ের শোরচিৎকারে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল ১০টায় মৃত ঘোষণা করেন।
এঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হোমনা উপজেলা সদরের রাস্তায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেন সাধারণ জনগণ। দোষি ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবীও জানান তারা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হোমনা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহমেদ মোফাসের এবং নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার শহিদুল ইসলাম দ্রুত হোমনা সরকারি হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে শোকাহত বাবা-মাকে শান্তনা দেন এবং নিজেই আবেগাপ্লুত হন।
এসিল্যান্ড আহমেদ মুফাসের সাংবাদিকদের বলেন,“ঘটনার সময় আমি গাড়িতে ছিলাম না। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসি। এই শিশুটি আমার সন্তানও হতে পারত। আমি একজন বাবা হিসেবে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবো।”
টিউলিপ প্রশাসন ইন্সটিটিউটের প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহিম জানান, সকালে ফাইজা তার মায়ের সঙ্গে বিদ্যালয়ে এসেছিল। তার বড় ভাই প্রতিষ্ঠানটির প্লে-গ্রুপের শিক্ষার্থী। এরপর হঠাৎ করেই দুর্ঘনায় শিশুটি মারা যায়।
নিহত শিশুর বাবা মোঃ ফাইজুল হক গাড়িচালকের ফাঁসিসহ সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, আমার কলিজাটাকে মেরে ফেলেছে। আমি সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
ঘটনায় হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ও.সি) মোরশেদুল আলম চৌধূরী বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
শিশু ফাইজার মৃত্যুতে পুরো উপজেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা দ্রুত বিচার নিশ্চিতের পাশাপাশি উপজেলা চত্বরে যানবাহনের গতিনিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন এমএ কাশেম ভূঁইয়া।