নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের চাকদা বাস এলাকায় ফরহাদ ভান্ডারের বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাড়ের নিচ থেকে নুর ইসলাম কাইয়া (৫২) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় মরদেহটি পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার, (০৪ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ৯টার দিকে বিদ্যালয়গামী ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয়রা বাঁশঝাড়ের নিচে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরে ডিমলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত নুর ইসলাম কাইয়া ছাতনাই বালাপাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আফসার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত হত্যা। ঘটনাস্থলের কাছে নয়, অন্য কোথাও হত্যার পর তার মরদেহ টেনে-হিঁচড়ে এনে বাঁশঝাড়ের নিচে ফেলে রাখা হয়েছে। তার নিজ বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে মরদেহটি পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা, গতকাল বুধবার রাতে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হতে পারে।
স্বজনরা জানান, নুর ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। টাঙ্গাইলের একটি কর্মস্থল থেকে তিনি জলঢাকা উপজেলায় মেয়ের বাড়িতে যান এবং সেখান থেকে গত রোববার নিজ বাড়িতে ফেরেন।
ডিমলা থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (ডোমার-ডিমলা সার্কেল) মো. নিয়াজ মেহেদী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। দ্রুত জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’
ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের চাকদা বাস এলাকায় ফরহাদ ভান্ডারের বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাড়ের নিচ থেকে নুর ইসলাম কাইয়া (৫২) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় মরদেহটি পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার, (০৪ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ৯টার দিকে বিদ্যালয়গামী ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয়রা বাঁশঝাড়ের নিচে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরে ডিমলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত নুর ইসলাম কাইয়া ছাতনাই বালাপাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আফসার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত হত্যা। ঘটনাস্থলের কাছে নয়, অন্য কোথাও হত্যার পর তার মরদেহ টেনে-হিঁচড়ে এনে বাঁশঝাড়ের নিচে ফেলে রাখা হয়েছে। তার নিজ বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে মরদেহটি পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা, গতকাল বুধবার রাতে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হতে পারে।
স্বজনরা জানান, নুর ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। টাঙ্গাইলের একটি কর্মস্থল থেকে তিনি জলঢাকা উপজেলায় মেয়ের বাড়িতে যান এবং সেখান থেকে গত রোববার নিজ বাড়িতে ফেরেন।
ডিমলা থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (ডোমার-ডিমলা সার্কেল) মো. নিয়াজ মেহেদী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। দ্রুত জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’
ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।