ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে যৌতুকের দাবীতে স্বামীর মারপিঠের স্বিকার হয়ে ২দিন ধরে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন পূজা রানী মিস্ত্রী (২১) নামের নির্যাতিত এক গৃহবধু। ঘটনাটি ঘটেছে বনগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব জয়পুর গ্রামে গত বুধবার রাত ৭ টার দিকে। নির্যাতিত ওই গৃহবধুকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার, (০৫ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে জয়পুর গ্রামের সুকান্ত বিশ্বাস, সুমন মৃধা, হিমানিশ মৃধাসহ একাধিক গ্রাম বাসীরা ওই নির্যাতিত গৃহবধুর ওপর হামলায় স্বামীর বিচারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পূজা রানী মিস্ত্রী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ৪ বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক ধরে বনগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব জয়পুর গ্রামের সুভাষ মন্ডলের ছেলে উজ্জ্বল কুমার মন্ডলের সাথে তার বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই স্বামী উজ্জ্বল কুমার মন্ডল তাকে পিতার বাড়ী থেকে স্বর্নালংকার, টাকা পয়সা আনার জন্য বিভিন্ন সময় চাপ প্রয়োগ করে। দিন মজুর পিতা স্বর্নালংকার টাকা পয়সা না দিতে পারায় তার ওপরে শুরু হয় প্রতিনিয়ত মারপিঠ ও নির্যাতন। ঘটনার দিন গত বুধবার সন্ধ্যায় গৃহ বধু পূজা রানী ঘরে রান্না করতে ছিল, এ সময় তার স্বামী উজ্জ্বল ও তার সাথে আরও ২টি লোক এসে তাকে ডাক দিলে দরজা খোলার সাথে সাথেই পিছন থেকে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে, পরে সে দৌড়ে গিয়ে একই গ্রামের পিতার বাড়ির দিকে যেতে গেলে প্রতিমধ্য তাকে পিছন থেকে ধাওয়া দিয়ে আবারও আঘাত করলে জ্ঞান হারিয়ে সে রাস্তার পাশে পরে থাকে। এ সময় স্থানীয় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে তার পিতাকে সংবাদ দিলে পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসার জন্য নিকস্থ পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ওই রাতেই ভর্তি করা হয়। আমার বাবা একজন দিনমজুর কৃষক কিভাবে দিবে স্বর্নালংকার ও টাকা পয়সা। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
নির্যাতিত গ্রহবধুর পিতা বিজয় কৃষ্ণ মিস্ত্রী ও তার স্ত্রী দিপালী রানী মিস্ত্রী বলেন, নবম শ্রেনীতে পড়াশুনা করা অবস্থায় তার মেয়ে পূজাকে একই গ্রামের প্রতিবেশী উজ্জ্বল কুমার মন্ডল জোড় পূর্বক বিবাহ করে। তখন তার বিবাহের বয়স ও হয়নি। এ ঘটনায় তখন আমরা কোর্টে মামলা দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে স্থানীয়দের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিল। এরপর থেকে আমার মেয়েটাকে দিন দিন মারপিঠ নির্যাতন করে বিবাহের সময় কেন তাকে স্বর্নরংকার দেওয়া হয় নি দাবী করে। উল্টো আমাদের হয়রানীর জন্য বিভিন্নভাবে মামলা ও অভিযোগ দায়ের করেছে। বুধবার সন্ধ্যায় মেয়েকে মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়, পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদেরকে সংবাদ দিলে আমরা তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। আমরা প্রশাসনের কাছে তদন্ত পূর্বক এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে উজ্জ্বল কুমার মন্ডল তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়, তার স্ত্রীকে তিনি কোন মারপিঠ করেননি। তাকে হয়রানী করার জন্য ঘটনাটি সাজানো হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে যৌতুকের দাবীতে স্বামীর মারপিঠের স্বিকার হয়ে ২দিন ধরে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন পূজা রানী মিস্ত্রী (২১) নামের নির্যাতিত এক গৃহবধু। ঘটনাটি ঘটেছে বনগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব জয়পুর গ্রামে গত বুধবার রাত ৭ টার দিকে। নির্যাতিত ওই গৃহবধুকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার, (০৫ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে জয়পুর গ্রামের সুকান্ত বিশ্বাস, সুমন মৃধা, হিমানিশ মৃধাসহ একাধিক গ্রাম বাসীরা ওই নির্যাতিত গৃহবধুর ওপর হামলায় স্বামীর বিচারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পূজা রানী মিস্ত্রী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ৪ বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক ধরে বনগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব জয়পুর গ্রামের সুভাষ মন্ডলের ছেলে উজ্জ্বল কুমার মন্ডলের সাথে তার বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই স্বামী উজ্জ্বল কুমার মন্ডল তাকে পিতার বাড়ী থেকে স্বর্নালংকার, টাকা পয়সা আনার জন্য বিভিন্ন সময় চাপ প্রয়োগ করে। দিন মজুর পিতা স্বর্নালংকার টাকা পয়সা না দিতে পারায় তার ওপরে শুরু হয় প্রতিনিয়ত মারপিঠ ও নির্যাতন। ঘটনার দিন গত বুধবার সন্ধ্যায় গৃহ বধু পূজা রানী ঘরে রান্না করতে ছিল, এ সময় তার স্বামী উজ্জ্বল ও তার সাথে আরও ২টি লোক এসে তাকে ডাক দিলে দরজা খোলার সাথে সাথেই পিছন থেকে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে, পরে সে দৌড়ে গিয়ে একই গ্রামের পিতার বাড়ির দিকে যেতে গেলে প্রতিমধ্য তাকে পিছন থেকে ধাওয়া দিয়ে আবারও আঘাত করলে জ্ঞান হারিয়ে সে রাস্তার পাশে পরে থাকে। এ সময় স্থানীয় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে তার পিতাকে সংবাদ দিলে পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসার জন্য নিকস্থ পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ওই রাতেই ভর্তি করা হয়। আমার বাবা একজন দিনমজুর কৃষক কিভাবে দিবে স্বর্নালংকার ও টাকা পয়সা। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
নির্যাতিত গ্রহবধুর পিতা বিজয় কৃষ্ণ মিস্ত্রী ও তার স্ত্রী দিপালী রানী মিস্ত্রী বলেন, নবম শ্রেনীতে পড়াশুনা করা অবস্থায় তার মেয়ে পূজাকে একই গ্রামের প্রতিবেশী উজ্জ্বল কুমার মন্ডল জোড় পূর্বক বিবাহ করে। তখন তার বিবাহের বয়স ও হয়নি। এ ঘটনায় তখন আমরা কোর্টে মামলা দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে স্থানীয়দের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিল। এরপর থেকে আমার মেয়েটাকে দিন দিন মারপিঠ নির্যাতন করে বিবাহের সময় কেন তাকে স্বর্নরংকার দেওয়া হয় নি দাবী করে। উল্টো আমাদের হয়রানীর জন্য বিভিন্নভাবে মামলা ও অভিযোগ দায়ের করেছে। বুধবার সন্ধ্যায় মেয়েকে মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়, পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদেরকে সংবাদ দিলে আমরা তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। আমরা প্রশাসনের কাছে তদন্ত পূর্বক এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে উজ্জ্বল কুমার মন্ডল তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়, তার স্ত্রীকে তিনি কোন মারপিঠ করেননি। তাকে হয়রানী করার জন্য ঘটনাটি সাজানো হয়েছে।