শীতের আমেজ শুরু হতেই চরফ্যাসনে জমে উঠেছে বাহারি পিঠার বাজার। চরফ্যাসন প্রেস ক্লাব ও ব্রজগোপাল টাউন হলের সামনে বিকেলের পর থেকেই বসে নানা রকম পিঠার পসরা। নিয়মিতভাবেই এখানে চার-পাঁচটি পিঠার দোকান দেখা যায়। গত কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যা নামতেই পিঠার বাজার হয়ে উঠছে জমজমাট। কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ বসে মনে আনন্দ নিয়ে গরম গরম পিঠা উপভোগ করছেন। সব বয়সের মানুষের পদচারণায় পুরো এলাকা হয়ে ওঠে উৎসবমুখর।
পিঠার স্বাদ বাড়াতে সঙ্গে পরিবেশন করা হচ্ছে নানা ধরনের ভর্তা। সরিষা, চিংড়ি শুঁটকি, ধনেপাতা, কাঁচা ও শুকনো মরিচসহ বিভিন্ন উপাদানে তৈরি এসব মুখরোচক ভর্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে ক্রেতাদের আকর্ষণ। দোকানিদের পসরা জমেছে সরিষা, শুঁটকি, মরিচ, ধনেপাতা, বাদাম, জলপাই, বটবডি, শুকনো মরিচ, কুমড়ো ও শাকভর্তাসহ নানা স্বাদের ভর্তায়।
শুধু পৌর শহরেই নয়,গ্রামের হাটবাজারেও সন্ধ্যার পর বসে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। শীতকালে এসব পিঠার প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকে বাড়তি। চিতই, ভাপা, পাটিসাপটা, ডিম চিতইসহ নানা রঙের ও স্বাদের পিঠা সাজিয়ে রাখেন দোকানিরা।
সন্ধ্যার পর দোকানগুলোতে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। কেউ দোকানের এক কোণে বসে খাচ্ছেন, কেউ কেউ জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়ে পিঠা খাচ্ছেন। অনেকে আবার প্যাকেট করে নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের জন্য শীতের এই আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে।
পিঠা খেতে আসা রাজিব হোসেন বলেন, শীতে এসব পিঠা খেতে দারুণ লাগে। গরম গরম পিঠা খেলে শরীরে উষ্ণতা ছড়িয়ে যায়। তাই প্রায় প্রতিদিনই বন্ধুদের সঙ্গে এখানে চলে আসি। শীত আর পিঠার মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক রয়েছে।
চরফ্যাসন ঘুরতে আসা হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, শীতের সঙ্গে চিতই পিঠার এক আবহমান সম্পর্ক আছে। শীত আমরা পিঠার মাধ্যমেই উদযাপন করি। তিনি কয়েক দিন ধরে চরফ্যাসন ও আশপাশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছেন। তাঁর ভাষায়, প্রতিদিন বিকেলে নানা শ্রেণির মানুষ এখানে পিঠা খেতে আসে, আর সন্ধ্যার পর পরিবেশ আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
মৌসুমি পিঠার দোকানি মাজেদ ও বাহা উদ্দিন জানান, বর্তমানে তাদের পিঠার বিক্রি বেশ ভালো চলছে। তারা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, বিক্রি ভালোই হচ্ছে। আমাদের দোকানে গভীর রাত পর্যন্ত পিঠা বিক্রি চলে। প্রতিদিন ৮-১০ হাজার টাকার মতো বেচাকেনা হয়। কয়েক দিন পর বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
শীতের আমেজ শুরু হতেই চরফ্যাসনে জমে উঠেছে বাহারি পিঠার বাজার। চরফ্যাসন প্রেস ক্লাব ও ব্রজগোপাল টাউন হলের সামনে বিকেলের পর থেকেই বসে নানা রকম পিঠার পসরা। নিয়মিতভাবেই এখানে চার-পাঁচটি পিঠার দোকান দেখা যায়। গত কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যা নামতেই পিঠার বাজার হয়ে উঠছে জমজমাট। কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ বসে মনে আনন্দ নিয়ে গরম গরম পিঠা উপভোগ করছেন। সব বয়সের মানুষের পদচারণায় পুরো এলাকা হয়ে ওঠে উৎসবমুখর।
পিঠার স্বাদ বাড়াতে সঙ্গে পরিবেশন করা হচ্ছে নানা ধরনের ভর্তা। সরিষা, চিংড়ি শুঁটকি, ধনেপাতা, কাঁচা ও শুকনো মরিচসহ বিভিন্ন উপাদানে তৈরি এসব মুখরোচক ভর্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে ক্রেতাদের আকর্ষণ। দোকানিদের পসরা জমেছে সরিষা, শুঁটকি, মরিচ, ধনেপাতা, বাদাম, জলপাই, বটবডি, শুকনো মরিচ, কুমড়ো ও শাকভর্তাসহ নানা স্বাদের ভর্তায়।
শুধু পৌর শহরেই নয়,গ্রামের হাটবাজারেও সন্ধ্যার পর বসে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। শীতকালে এসব পিঠার প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকে বাড়তি। চিতই, ভাপা, পাটিসাপটা, ডিম চিতইসহ নানা রঙের ও স্বাদের পিঠা সাজিয়ে রাখেন দোকানিরা।
সন্ধ্যার পর দোকানগুলোতে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। কেউ দোকানের এক কোণে বসে খাচ্ছেন, কেউ কেউ জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়ে পিঠা খাচ্ছেন। অনেকে আবার প্যাকেট করে নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের জন্য শীতের এই আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে।
পিঠা খেতে আসা রাজিব হোসেন বলেন, শীতে এসব পিঠা খেতে দারুণ লাগে। গরম গরম পিঠা খেলে শরীরে উষ্ণতা ছড়িয়ে যায়। তাই প্রায় প্রতিদিনই বন্ধুদের সঙ্গে এখানে চলে আসি। শীত আর পিঠার মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক রয়েছে।
চরফ্যাসন ঘুরতে আসা হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, শীতের সঙ্গে চিতই পিঠার এক আবহমান সম্পর্ক আছে। শীত আমরা পিঠার মাধ্যমেই উদযাপন করি। তিনি কয়েক দিন ধরে চরফ্যাসন ও আশপাশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছেন। তাঁর ভাষায়, প্রতিদিন বিকেলে নানা শ্রেণির মানুষ এখানে পিঠা খেতে আসে, আর সন্ধ্যার পর পরিবেশ আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
মৌসুমি পিঠার দোকানি মাজেদ ও বাহা উদ্দিন জানান, বর্তমানে তাদের পিঠার বিক্রি বেশ ভালো চলছে। তারা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, বিক্রি ভালোই হচ্ছে। আমাদের দোকানে গভীর রাত পর্যন্ত পিঠা বিক্রি চলে। প্রতিদিন ৮-১০ হাজার টাকার মতো বেচাকেনা হয়। কয়েক দিন পর বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছি।