ঝিনাইদহের মহেশপুরে কোনোরূপ আয়োজন ছাড়াই নীরবে নিভৃতে কেটে গেল ঐতিহাসিক ৫৪তম হানাদারমুক্ত দিবস যে দিনটি একসময় ছিল মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, গৌরব আর ত্যাগের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে মহেশপুর থানা আক্রমণ করে তৎকালীন সেক্টর-৮ এর যোদ্ধারা। কমান্ডার মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে কয়েক ঘণ্টা তুমুল লড়াইয়ের পর মুক্তিযোদ্ধারা পাক-হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মহেশপুরকে সম্পূর্ণ মুক্ত ঘোষণা করেন এবং পরদিন সকালে উত্তোলন করেন বিজয়ের লাল-সবুজ পতাকা। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ণনা মতে, বীরযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন সেই সময় এসএমজি হাতে সাত আটটি সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে সাহসিকতা দেখান বহু কৌশলগত আক্রমণে নেতৃত্ব দেন মুক্তিযোদ্ধারা বিশেষত ২০ নভেম্বর দত্তনগরের ভয়াবহ যুদ্ধ এবং ৪ ডিসেম্বর চারদিক ঘিরে যৌথ অভিযানের পর পাক বাহিনী রাতের অন্ধকারে মহেশপুর হাসপাতাল ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং পশ্চাদপসরণকালে ভালাইপুর ব্রিজ উড়িয়ে দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কিন্তু জাতির সেই বীরত্বগাথার দিনে এবার কোনো স্মরণসভা, শ্রদ্ধাঞ্জলি বা সরকারি উদ্যোগ দেখা যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা আক্তার জানান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব বা যোগাযোগ না আসায় আনুষ্ঠানিকতা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান আহ্বায়ক সাহেব আলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে, ফলে দিনটি যেন অবহেলার দেয়ালে আটকে নীরবেই পেরিয়ে গেলো।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
ঝিনাইদহের মহেশপুরে কোনোরূপ আয়োজন ছাড়াই নীরবে নিভৃতে কেটে গেল ঐতিহাসিক ৫৪তম হানাদারমুক্ত দিবস যে দিনটি একসময় ছিল মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, গৌরব আর ত্যাগের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে মহেশপুর থানা আক্রমণ করে তৎকালীন সেক্টর-৮ এর যোদ্ধারা। কমান্ডার মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে কয়েক ঘণ্টা তুমুল লড়াইয়ের পর মুক্তিযোদ্ধারা পাক-হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মহেশপুরকে সম্পূর্ণ মুক্ত ঘোষণা করেন এবং পরদিন সকালে উত্তোলন করেন বিজয়ের লাল-সবুজ পতাকা। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ণনা মতে, বীরযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন সেই সময় এসএমজি হাতে সাত আটটি সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে সাহসিকতা দেখান বহু কৌশলগত আক্রমণে নেতৃত্ব দেন মুক্তিযোদ্ধারা বিশেষত ২০ নভেম্বর দত্তনগরের ভয়াবহ যুদ্ধ এবং ৪ ডিসেম্বর চারদিক ঘিরে যৌথ অভিযানের পর পাক বাহিনী রাতের অন্ধকারে মহেশপুর হাসপাতাল ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং পশ্চাদপসরণকালে ভালাইপুর ব্রিজ উড়িয়ে দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কিন্তু জাতির সেই বীরত্বগাথার দিনে এবার কোনো স্মরণসভা, শ্রদ্ধাঞ্জলি বা সরকারি উদ্যোগ দেখা যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা আক্তার জানান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব বা যোগাযোগ না আসায় আনুষ্ঠানিকতা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান আহ্বায়ক সাহেব আলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে, ফলে দিনটি যেন অবহেলার দেয়ালে আটকে নীরবেই পেরিয়ে গেলো।