ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আজ বিশ্বের নানা দেশে আন্তর্জাতিক সেচ্ছাসেবক দিবস পালিত হচ্ছে। এই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে পূর্বাচলে একটি বৃহৎ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি সেচ্ছাসেবকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং তাদের কাজের প্রশংসা করেন, যা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে। শুক্রবার, (০৫ ডিসেম্বর ২০২৫) পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজন করা হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তার উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, সেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা সমাজের উন্নয়নে অনস্বীকার্য। তারা শুধু যে পরিমাণ মানবিকতা ও সহানুভূতির প্রদর্শন করেন, তা সমাজের অন্যান্য সদস্যদেরও অনুপ্রাণিত করে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সেচ্ছাসেবকদের অবদান রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং মানবাধিকার রক্ষা—এ সব ক্ষেত্রে তাদের কাজ অনুপ্রেরণাদায়ক এবং অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সারা দেশে ৭ হাজার ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পন্ন করেছে। ইতোমধ্যে তারা ৪ হাজার বা তার অধিক ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পন্ন করেছে। ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণের এই যুগোপযোগী কাজকে সফলভাবে এগিয়ে নেবার জন্য আমি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আন্তরিক চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় প্রশাসন এবং অন্যান্য সামাজিক উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে, সেচ্ছাসেবী কাজের ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য একাধিক সেচ্ছাসেবককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এছাড়াও, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জনাব মো. খোদা বখস চৌধুরী। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও
অনুষ্ঠানে দ্ইু শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক, উপপরিচালক, ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
এই দিবসটি সারা পৃথিবীজুড়ে মানবিক মূল্যবোধ, সমবেদনা এবং পারস্পরিক সহায়তার সংস্কৃতি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটির মাধ্যমে সেচ্ছাসেবকদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং নতুন প্রজন্মকে সেচ্ছাসেবী কাজের প্রতি আকৃষ্ট করে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
আজ বিশ্বের নানা দেশে আন্তর্জাতিক সেচ্ছাসেবক দিবস পালিত হচ্ছে। এই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে পূর্বাচলে একটি বৃহৎ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি সেচ্ছাসেবকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং তাদের কাজের প্রশংসা করেন, যা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে। শুক্রবার, (০৫ ডিসেম্বর ২০২৫) পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজন করা হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তার উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, সেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা সমাজের উন্নয়নে অনস্বীকার্য। তারা শুধু যে পরিমাণ মানবিকতা ও সহানুভূতির প্রদর্শন করেন, তা সমাজের অন্যান্য সদস্যদেরও অনুপ্রাণিত করে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সেচ্ছাসেবকদের অবদান রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং মানবাধিকার রক্ষা—এ সব ক্ষেত্রে তাদের কাজ অনুপ্রেরণাদায়ক এবং অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সারা দেশে ৭ হাজার ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পন্ন করেছে। ইতোমধ্যে তারা ৪ হাজার বা তার অধিক ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পন্ন করেছে। ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণের এই যুগোপযোগী কাজকে সফলভাবে এগিয়ে নেবার জন্য আমি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আন্তরিক চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় প্রশাসন এবং অন্যান্য সামাজিক উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে, সেচ্ছাসেবী কাজের ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য একাধিক সেচ্ছাসেবককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এছাড়াও, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জনাব মো. খোদা বখস চৌধুরী। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও
অনুষ্ঠানে দ্ইু শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক, উপপরিচালক, ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
এই দিবসটি সারা পৃথিবীজুড়ে মানবিক মূল্যবোধ, সমবেদনা এবং পারস্পরিক সহায়তার সংস্কৃতি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটির মাধ্যমে সেচ্ছাসেবকদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং নতুন প্রজন্মকে সেচ্ছাসেবী কাজের প্রতি আকৃষ্ট করে।