গত পাঁচ দিন ধরে কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে। তীব্র ঠান্ডা ও হিমেল বাতাসে নাকাল হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। বেশি বিপাকে পড়েছেন বৃদ্ধ, শিশু ও দিনমজুররা। শীতের কারণে অনেক দিনমজুরের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ঠিক মতো কাজে যেতে না পারায় আর্থিক কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
এমন ঠান্ডায় কষ্ট বেড়েছে জেলার ১৬ নদ-নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষদের। জেলার ৪৬৯টি চরের মধ্যে ২৬৯টিতেই মানুষের বসবাস আছে। ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন এসব চরের অধিকাংশ মানুষ। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও চররাজিবপুর উপজেলার চরে শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বেশি।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার,(০৫ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৮ শতাংশ। তিনি বলেন, গত ৫ দিন ধরে জেলার তাপমাত্রা নিম্নমুখী, ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
ধরলার পার এলাকার ফজলু মিয়া (৬০) বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। ঘরে পড়ার মতো গরম কাপড় নাই। রাতে ঘুমাইতে গেলে ঠান্ডায় শরীর জমে যায়।’
শিক্ষার্থী রাকিব জানায়, ‘রাতে আর সকালে রাস্তায় বের হওয়া যায় না ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার কারণে। সকালে স্কুল যাওয়া খুব কষ্ট হয়।’
গৃহকর্মী রেহানা, পারুল ও গোলে বেওয়া জানান, ‘পানি তো বরফের মতো ঠান্ডা। দীর্ঘ সময় ঠান্ডায় কাজ করলে শরীর জমে যায়।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
গত পাঁচ দিন ধরে কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে। তীব্র ঠান্ডা ও হিমেল বাতাসে নাকাল হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। বেশি বিপাকে পড়েছেন বৃদ্ধ, শিশু ও দিনমজুররা। শীতের কারণে অনেক দিনমজুরের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ঠিক মতো কাজে যেতে না পারায় আর্থিক কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
এমন ঠান্ডায় কষ্ট বেড়েছে জেলার ১৬ নদ-নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষদের। জেলার ৪৬৯টি চরের মধ্যে ২৬৯টিতেই মানুষের বসবাস আছে। ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন এসব চরের অধিকাংশ মানুষ। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও চররাজিবপুর উপজেলার চরে শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বেশি।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার,(০৫ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৮ শতাংশ। তিনি বলেন, গত ৫ দিন ধরে জেলার তাপমাত্রা নিম্নমুখী, ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
ধরলার পার এলাকার ফজলু মিয়া (৬০) বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। ঘরে পড়ার মতো গরম কাপড় নাই। রাতে ঘুমাইতে গেলে ঠান্ডায় শরীর জমে যায়।’
শিক্ষার্থী রাকিব জানায়, ‘রাতে আর সকালে রাস্তায় বের হওয়া যায় না ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার কারণে। সকালে স্কুল যাওয়া খুব কষ্ট হয়।’
গৃহকর্মী রেহানা, পারুল ও গোলে বেওয়া জানান, ‘পানি তো বরফের মতো ঠান্ডা। দীর্ঘ সময় ঠান্ডায় কাজ করলে শরীর জমে যায়।’