চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকায় একটি বাসা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ওমর ফারুক সুমন। তিনি আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে।
স্থানীয় সূত্র ও পারিবারিক সদস্যদের বরাত দিয়ে জানা যায়, সুমন খুলশীর ৫ নম্বর লেনের ১৭ নম্বরে তার মামার বাসায় থাকতেন। তার সঙ্গে সেখানে থাকতেন বড় ভাইও। দুই দিন আগে সুমনের মামারা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন এবং তার বড় ভাই এ দু’জনই ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে সুমনের বড় ভাই কাজের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে যান। সারাদিন সুমন বাসায় একাই ছিলেন। বিকেল ৪টার দিকে তিনি বড় ভাইকে ফোন দিয়ে জানতে চান ‘তুমি কোথায়, বাসায় আসতে কতক্ষণ লাগবে?’ বড় ভাই জানান যে তার আসতে একটু দেরি হবে।
এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে তার মা ছেলের নম্বরে ফোন দিয়ে যোগাযোগ না পেয়ে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান। দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে দরজা খুলে সুমনকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
ঘটনার পর পুলিশ এসে দড়ি কেটে মরদেহ নিচে নামায়। মৃত্যুর আগে সুমন একটি চিরকুট লিখে গেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোন আশা-আকাঙ্খা নেই।
আর আমার কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকায় একটি বাসা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ওমর ফারুক সুমন। তিনি আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে।
স্থানীয় সূত্র ও পারিবারিক সদস্যদের বরাত দিয়ে জানা যায়, সুমন খুলশীর ৫ নম্বর লেনের ১৭ নম্বরে তার মামার বাসায় থাকতেন। তার সঙ্গে সেখানে থাকতেন বড় ভাইও। দুই দিন আগে সুমনের মামারা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন এবং তার বড় ভাই এ দু’জনই ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে সুমনের বড় ভাই কাজের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে যান। সারাদিন সুমন বাসায় একাই ছিলেন। বিকেল ৪টার দিকে তিনি বড় ভাইকে ফোন দিয়ে জানতে চান ‘তুমি কোথায়, বাসায় আসতে কতক্ষণ লাগবে?’ বড় ভাই জানান যে তার আসতে একটু দেরি হবে।
এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে তার মা ছেলের নম্বরে ফোন দিয়ে যোগাযোগ না পেয়ে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান। দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে দরজা খুলে সুমনকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
ঘটনার পর পুলিশ এসে দড়ি কেটে মরদেহ নিচে নামায়। মৃত্যুর আগে সুমন একটি চিরকুট লিখে গেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোন আশা-আকাঙ্খা নেই।
আর আমার কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করেন।