পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে শীত মৌসুম শুরুর সাথে সাথে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠেছে। শীতের মৌসুম শুরু হবার সাথে সাথে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় ডুবোচরগুলো জেগে উঠছে। নদীতে জেগে উঠা ডুবোচরে পর্যটক ও উৎসুক জনতা ভিড় করছে। অনেকে নতুন চর দেখার জন্য নৌকা ও ট্রলার নিয়ে নদী পাড়ি দিয়ে শীতের কুয়াশা ভেদ করে চরে নেমে উৎসুক জনতা ছুটাছুটি করছে।
উপজেলার সাধারন মানুষের যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম ছিল নদী পথ। কিন্তু সময়ের ব্যবধান ও প্রকৃতির বৈরিতায় এই সব নদী নাব্যতা সঙ্কটে পড়েছে। এক সময়ের উত্তাল ও খরস্রোতা নদীগুলোতেও পলি জমে চর জেগে উঠেছে। কোথাও কোথাও আবার নদী শুকিয়ে খালের মত হয়ে গেছে। অভ্যন্তরীণ রুটে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠেছে ফলে লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। নাব্যতা সংকটের কারণে দশমিনা-ঢাকা, দশমিনা-বরিশাল ও দশমিনা-ভোলা রুটে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে নৌযান। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। কিছু পয়েন্টে ড্রেজিং করা হলেও বেশিরভাগ রুটের বেহাল দশা বলে জানিয়েছে লঞ্চ চালকরা।
জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম নৌপথ। এখান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী লঞ্চে করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই নদীতে অসংখ্য ডুবোচর জেগে ওঠায় নৌযান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে যেতে পারছে না নৌযানগুলো। ইতিমধ্যে নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে।
ড্রেজিং করার উদ্যোগ না নেয়ায় নৌযান চলাচল করতে পারছে না। এই রুটে চলাচলকারী ছোট-বড় লঞ্চগুলো ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে পৌছানোর চেষ্টা করছে। অনেক সময় ডুব চরে নৌযান আটকে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষার করতে হয়। পরবর্তী জোয়ারের পানি না আসা পর্যন্ত কিছুই করার থাকে না। উপজেলার ৩টি ঘাট বাঁশবাড়িয়া, হাজীরহাট ও আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট দিয়ে ঢাকাসহ অন্যান্য গন্তব্যে যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা যাতায়াত করছে। বর্তমানে কুয়াশা এবং সিগনাল বাতি না দেখার কারনে লঞ্চ চলতে পারছে না। লঞ্চ মাস্টার ও সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডুবোচরের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে চলতে হচ্ছে নৌযানগুলোকে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে এই অঞ্চলের নৌপথ। এই অবস্থায় নৌপথের রক্ষণাবেক্ষণ ও ড্রেজিংয়ের দাবি তোলেন ভুক্তভোগীরা। একই সঙ্গে বয়া ও মার্কার বাতি না থাকায় কুয়াশার সময়ে লঞ্চ চালাতে বিপাকে পড়তে হয়। একাধিক লঞ্চ চালক বলেন, নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে লঞ্চ চলাচলে বিঘœ ঘটছে। এই কারণে গন্তব্যে যেতে অতিরিক্ত সময় লাগছে। তাই এই নৌপথে ড্রেজিং জরুরি হয়ে পড়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের চলাচলকারী একাধিক লঞ্চের মালিক বলেন, ডুবোচরের কারণে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। সঠিক সময়ে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। শুধু তাই নয় লঞ্চ চালাতে গিয়ে আমাদের পরিবহন খরচও অতিরিক্ত হচ্ছে। তাই রুটগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও ড্রেজিং জরুরি হয়ে পড়েছে।
নৌপথে নাব্যতা ফেরানোর জন্য কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বর্তমানে নতুন চরগুলো উৎসুক জনতা ও পর্যটকদের জন্য বিনোদন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে শীত মৌসুম শুরুর সাথে সাথে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠেছে। শীতের মৌসুম শুরু হবার সাথে সাথে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় ডুবোচরগুলো জেগে উঠছে। নদীতে জেগে উঠা ডুবোচরে পর্যটক ও উৎসুক জনতা ভিড় করছে। অনেকে নতুন চর দেখার জন্য নৌকা ও ট্রলার নিয়ে নদী পাড়ি দিয়ে শীতের কুয়াশা ভেদ করে চরে নেমে উৎসুক জনতা ছুটাছুটি করছে।
উপজেলার সাধারন মানুষের যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম ছিল নদী পথ। কিন্তু সময়ের ব্যবধান ও প্রকৃতির বৈরিতায় এই সব নদী নাব্যতা সঙ্কটে পড়েছে। এক সময়ের উত্তাল ও খরস্রোতা নদীগুলোতেও পলি জমে চর জেগে উঠেছে। কোথাও কোথাও আবার নদী শুকিয়ে খালের মত হয়ে গেছে। অভ্যন্তরীণ রুটে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠেছে ফলে লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। নাব্যতা সংকটের কারণে দশমিনা-ঢাকা, দশমিনা-বরিশাল ও দশমিনা-ভোলা রুটে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে নৌযান। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। কিছু পয়েন্টে ড্রেজিং করা হলেও বেশিরভাগ রুটের বেহাল দশা বলে জানিয়েছে লঞ্চ চালকরা।
জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম নৌপথ। এখান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী লঞ্চে করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই নদীতে অসংখ্য ডুবোচর জেগে ওঠায় নৌযান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে যেতে পারছে না নৌযানগুলো। ইতিমধ্যে নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে।
ড্রেজিং করার উদ্যোগ না নেয়ায় নৌযান চলাচল করতে পারছে না। এই রুটে চলাচলকারী ছোট-বড় লঞ্চগুলো ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে পৌছানোর চেষ্টা করছে। অনেক সময় ডুব চরে নৌযান আটকে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষার করতে হয়। পরবর্তী জোয়ারের পানি না আসা পর্যন্ত কিছুই করার থাকে না। উপজেলার ৩টি ঘাট বাঁশবাড়িয়া, হাজীরহাট ও আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট দিয়ে ঢাকাসহ অন্যান্য গন্তব্যে যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা যাতায়াত করছে। বর্তমানে কুয়াশা এবং সিগনাল বাতি না দেখার কারনে লঞ্চ চলতে পারছে না। লঞ্চ মাস্টার ও সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডুবোচরের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে চলতে হচ্ছে নৌযানগুলোকে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে এই অঞ্চলের নৌপথ। এই অবস্থায় নৌপথের রক্ষণাবেক্ষণ ও ড্রেজিংয়ের দাবি তোলেন ভুক্তভোগীরা। একই সঙ্গে বয়া ও মার্কার বাতি না থাকায় কুয়াশার সময়ে লঞ্চ চালাতে বিপাকে পড়তে হয়। একাধিক লঞ্চ চালক বলেন, নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে লঞ্চ চলাচলে বিঘœ ঘটছে। এই কারণে গন্তব্যে যেতে অতিরিক্ত সময় লাগছে। তাই এই নৌপথে ড্রেজিং জরুরি হয়ে পড়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের চলাচলকারী একাধিক লঞ্চের মালিক বলেন, ডুবোচরের কারণে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। সঠিক সময়ে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। শুধু তাই নয় লঞ্চ চালাতে গিয়ে আমাদের পরিবহন খরচও অতিরিক্ত হচ্ছে। তাই রুটগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও ড্রেজিং জরুরি হয়ে পড়েছে।
নৌপথে নাব্যতা ফেরানোর জন্য কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বর্তমানে নতুন চরগুলো উৎসুক জনতা ও পর্যটকদের জন্য বিনোদন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।