ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার কাঁচা বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ প্রতিদিন বাড়ছে। দাম কিছুটা কমলেও অধিকাংশ সবজির দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে রয়েছে। নতুন বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগমসহ বেশিরভাগ শীতের সবজি বিক্রি হচ্ছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি দামে। শনিবার সকালে উপজেলার চান্দাইকোনা ও উপজেলা সদর ধানগড়া ঘুরে ক্রেতা -বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া যায়। বিক্রেতাদের দাবি, অক্টোবর মাসের অস্বাভাবিক বৃষ্টির কারণে গোটা দেশে শীতকালীন সবজি উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। অনেক এলাকায় সবজির ক্ষেতই নষ্ট হয়েছে। ফলে স্থানীয় পর্যায়েও দাম চড়া। যদিও বাজার শীতের নানা সবজিতে টয়টম্বুর। ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, বেগুন, শিম, টমেটো, মিষ্টিকুমড়া,গাজর, মুলাসহ সকল ধরনের শাক পাওয়া যাচ্ছে। তবে ক্রেতারা দামে সন্তুষ্ট নন।
বর্তমানে বাজারে বেগুন কেজিতে ৮০-৯০ টাকা, নতুন শিম ১০০-১২০ টাকা, নতুন আলু ১২০-১৫০ টাকা, বরবটি ৭৫-৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ও পটোল ৬০-৭০ টাকা, আকারভেদে প্রতি পিস মিষ্টিকুমড়া ৭৫-১০০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা, লাল শাক কেজিতে ৭০-৮০ টাকা, পালংশাক ৫০-৬০ টাকা, শোলাপাতা ১০০-১২০ টাকা, লাউ শাক আকারভেদে আঁটি প্রাতি ২০-৫০ টাকা, পুঁই শাক ২০-৪০ টাকা এবং বিভিন্ন জুংলী শাকের মূল্যও চড়া।
দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১১০-১২০ টাকা, পাতা পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা, ফার্মের ডিম ডজনপ্রতি ১২০-১২৫ টাকা, গরুর মাংস কেজিতে ৬৮০-৭২০ টাকা, ছাগলের মাংস ১০০০-১১০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকা, সোনালী মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০-৬৫০ টাকা, হাস কেজিতে ৬৫০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের মাছের মূল্যের অবস্থাও একই।
ধানগড়া বাজারে বাজার করতে আসা হাফিজুর রহমান নামের এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শীতের সবজি বাজারে এসেছে কয়েক সপ্তাহ হলো। সাধারণত এ সময় সবজির দামে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু এ বছর উল্টো দাম আরও বেশী। পরিবারের বাজার সামলানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। আমিনা নামে এক নারী ক্রেতা জানান, সবজি ব্যতিত রান্না চলে না। কিন্তু প্রতিদিন শাক-সবজির দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে হিসাব মেলাতে পারছি না।
চান্দাইকোনা বাজারে সবজি কিনতে আসা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে শীতের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। আগের তুলনায় দাম কিছুটা কমলেও সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে রয়েছে দাম।
কাঁচমাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাসখানেক আগে অস্বাভাবিক বৃষ্টির কারণে উৎপাদন ব্যাপক হারে হ্রাস পায়। কৃষকরা নতুন করে চাষ করছেন। ১৫-২০ দিন পর নতুন সবজি বাজারে সরবরাহ হবে। তখন দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার কাঁচা বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ প্রতিদিন বাড়ছে। দাম কিছুটা কমলেও অধিকাংশ সবজির দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে রয়েছে। নতুন বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগমসহ বেশিরভাগ শীতের সবজি বিক্রি হচ্ছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি দামে। শনিবার সকালে উপজেলার চান্দাইকোনা ও উপজেলা সদর ধানগড়া ঘুরে ক্রেতা -বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া যায়। বিক্রেতাদের দাবি, অক্টোবর মাসের অস্বাভাবিক বৃষ্টির কারণে গোটা দেশে শীতকালীন সবজি উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। অনেক এলাকায় সবজির ক্ষেতই নষ্ট হয়েছে। ফলে স্থানীয় পর্যায়েও দাম চড়া। যদিও বাজার শীতের নানা সবজিতে টয়টম্বুর। ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, বেগুন, শিম, টমেটো, মিষ্টিকুমড়া,গাজর, মুলাসহ সকল ধরনের শাক পাওয়া যাচ্ছে। তবে ক্রেতারা দামে সন্তুষ্ট নন।
বর্তমানে বাজারে বেগুন কেজিতে ৮০-৯০ টাকা, নতুন শিম ১০০-১২০ টাকা, নতুন আলু ১২০-১৫০ টাকা, বরবটি ৭৫-৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ও পটোল ৬০-৭০ টাকা, আকারভেদে প্রতি পিস মিষ্টিকুমড়া ৭৫-১০০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা, লাল শাক কেজিতে ৭০-৮০ টাকা, পালংশাক ৫০-৬০ টাকা, শোলাপাতা ১০০-১২০ টাকা, লাউ শাক আকারভেদে আঁটি প্রাতি ২০-৫০ টাকা, পুঁই শাক ২০-৪০ টাকা এবং বিভিন্ন জুংলী শাকের মূল্যও চড়া।
দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১১০-১২০ টাকা, পাতা পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা, ফার্মের ডিম ডজনপ্রতি ১২০-১২৫ টাকা, গরুর মাংস কেজিতে ৬৮০-৭২০ টাকা, ছাগলের মাংস ১০০০-১১০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকা, সোনালী মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০-৬৫০ টাকা, হাস কেজিতে ৬৫০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের মাছের মূল্যের অবস্থাও একই।
ধানগড়া বাজারে বাজার করতে আসা হাফিজুর রহমান নামের এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শীতের সবজি বাজারে এসেছে কয়েক সপ্তাহ হলো। সাধারণত এ সময় সবজির দামে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু এ বছর উল্টো দাম আরও বেশী। পরিবারের বাজার সামলানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। আমিনা নামে এক নারী ক্রেতা জানান, সবজি ব্যতিত রান্না চলে না। কিন্তু প্রতিদিন শাক-সবজির দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে হিসাব মেলাতে পারছি না।
চান্দাইকোনা বাজারে সবজি কিনতে আসা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে শীতের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। আগের তুলনায় দাম কিছুটা কমলেও সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে রয়েছে দাম।
কাঁচমাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাসখানেক আগে অস্বাভাবিক বৃষ্টির কারণে উৎপাদন ব্যাপক হারে হ্রাস পায়। কৃষকরা নতুন করে চাষ করছেন। ১৫-২০ দিন পর নতুন সবজি বাজারে সরবরাহ হবে। তখন দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।