ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় নাশকতার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় দীর্ঘদিনেও কোনো আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা (মৃত্যুদন্ড) ঘোষণার পর দেশব্যাপী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির লক্ষ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নাশকতামূলক তৎপরতায় জড়ানোর চেষ্টা করে। এরই ধারাবাহিকতায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ডালিয়া ১ নম্বর বাজার এলাকায় একইদিন সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের আনুমানিক দেড় শতাধিক নেতাকর্মী জড়ো হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। অভিযোগে বলা হয়, এসময় তারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
ঘটনার এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তুললে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এ সময় পার্শ্ববর্তী একটি স’ মিলের ভেতরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এতে মিলটিতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি আহত হন। পরে ডিমলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় স’ মিলের মালিক গয়াবাড়ি গ্রামের আকবর আলীর ছেলে মো. রজব আলী ঘটনার পরদিন ১৮ নভেম্বর ডিমলা থানায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৯ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করেন। তবে অভিযোগ দায়েরের ৩ সপ্তাহ পেড়িয়ে গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তার বা দৃশ্যমান আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
পুলিশের এমন নিষ্ক্রিয়তায় এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সচেতন মহল মনে করছেন, দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তারা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনার দায় পুলিশ প্রশাসন এড়াতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মো. রজব আলী বলেন,
আমি ঘটনার পরদিনই থানায় এজাহার দাখিল করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ওসি সাহেব আজ–কাল করে সময় ক্ষেপণ করছেন। অন্যদিকে ডিমলা থানায় দায়িত্বরত এসআই পরিতোষ চন্দ্র রায় বলেন,
আগের ওসি বদলি হয়ে রাজশাহী রেঞ্জে যোগদান করেছেন। অভিযোগটির বিষয়টি জানা আছে। নতুন ওসি যোগদান করলে তিনিই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় নাশকতার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় দীর্ঘদিনেও কোনো আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা (মৃত্যুদন্ড) ঘোষণার পর দেশব্যাপী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির লক্ষ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নাশকতামূলক তৎপরতায় জড়ানোর চেষ্টা করে। এরই ধারাবাহিকতায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ডালিয়া ১ নম্বর বাজার এলাকায় একইদিন সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের আনুমানিক দেড় শতাধিক নেতাকর্মী জড়ো হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। অভিযোগে বলা হয়, এসময় তারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
ঘটনার এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তুললে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এ সময় পার্শ্ববর্তী একটি স’ মিলের ভেতরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এতে মিলটিতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি আহত হন। পরে ডিমলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় স’ মিলের মালিক গয়াবাড়ি গ্রামের আকবর আলীর ছেলে মো. রজব আলী ঘটনার পরদিন ১৮ নভেম্বর ডিমলা থানায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৯ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করেন। তবে অভিযোগ দায়েরের ৩ সপ্তাহ পেড়িয়ে গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তার বা দৃশ্যমান আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
পুলিশের এমন নিষ্ক্রিয়তায় এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সচেতন মহল মনে করছেন, দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তারা অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনার দায় পুলিশ প্রশাসন এড়াতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মো. রজব আলী বলেন,
আমি ঘটনার পরদিনই থানায় এজাহার দাখিল করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ওসি সাহেব আজ–কাল করে সময় ক্ষেপণ করছেন। অন্যদিকে ডিমলা থানায় দায়িত্বরত এসআই পরিতোষ চন্দ্র রায় বলেন,
আগের ওসি বদলি হয়ে রাজশাহী রেঞ্জে যোগদান করেছেন। অভিযোগটির বিষয়টি জানা আছে। নতুন ওসি যোগদান করলে তিনিই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।