alt

রোববার ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা : শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

রোববার ৭ ডিসেম্বর। চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ভারত সীমান্ত ঘেঁষা চুয়াডাঙ্গা জেলা পাকহানাদার মুক্ত হয়। এ দিন মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর তুমুল প্রতিরোধের মুখে পাকহানাদার বাহিনী এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা অভিমুখে পালিয়ে যায়। হানাদারমুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা। দিবসটি পালনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মসুচি গ্রহণ করা হযেছে।

১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর জেলার জীবননগর শহরে পাকহানাদার বাহিনীর পতন ঘটলেও চূড়ান্ত বিজয় আসে ৪ ডিসেম্বর। এদিন সকালে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কমান্ডার মেজর দত্ত ও বর্ম্মা এবং ৮ নম্বর সেক্টরের ভারতের বানপুর সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী যৌথভাবে জীবননগরের ধোপাখালী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে প্রবেশ করে। তারা চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, দত্তনগর, হাসাদহ সন্তোষপুর, রাজাপুর, ধোপাখালী ও মাধবখালীতে অবস্থানরত পাকবাহিনীর উপর অতর্কিতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এ সময় রাজাপুর ও মাধবখালী সীমান্তে সন্মুখ সমরে শাহাদৎ বরণ করেন হাবিলদার আব্দুল গফুর, নায়েক আব্দুল মালেক, আব্দুর রশিদ, সিপাহী সিদ্দিক আলী, আব্দুল আজিজ ও আবু বকর। যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর ২৯ বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা যৌথ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়ে পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহের দিকে পালিয়ে যায়। এ সময় জীবননগর থানায় ফেলে যাওয়া পাকবাহিনীর ক্যাপ্টেন নারী ধর্ষণকারী ও অমানুষিক নির্যাতনকারী হিসেবে চিহ্নিত মুনছুর আলীর ব্যবহ্যত জিপ গাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা আগুন ধরিয়ে দেয়। থানার মালখানা থেকে উদ্ধার করা হয় পাশবিক নির্যাতনের পর সদ্য হত্যা করা ৭/৮ জন অজ্ঞাত পরিচয় যুবতীর লাশ। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও দামুড়হুদা অঞ্চল দিয়ে পাকবাহিনীর উপর গেরিলা আক্রমণ শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী। এর ফলে চুয়াডাঙ্গা পুরোপুরি শত্রু মুক্ত হওয়ার পথ সুগম হয়।এরপর ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহরমুখী মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর ব্রিজের একাংশ শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেয়। যাতে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অনুসরণ করতে না পারে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহর ও আলমডাঙ্গা অতিক্রম করে কুষ্টিয়ার দিকে চলে যায়।

এরপর ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুরোপুরি শত্রু মুক্ত হয়। এ দিন স্বতঃস্ফুর্ত মুক্তিপাগল মুক্তিযোদ্ধারা চুয়াডাঙ্গার মাটিতে প্রথম লাল-সবুজ খোচিত স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। শুরু হয় প্রশাসনিক কর্মকান্ড। মোস্তফা আনোয়ারকে মহকুমা প্রশাসক করে এখানে বেসামরিক প্রশাসন চালু করা হয়। দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গাকে মুক্ত করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

ছবি

প্রধান শিক্ষকের ভুলে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের

ছবি

শ্রীমঙ্গলে ১১ ডিগ্রিতে নামল তাপমাত্রা, স্থবির জনজীবন

ছবি

ভোলায় প্রতিবন্ধীদের নিয়ে দুই দিনের প্রশিক্ষণ শুরু

ছবি

গজারিয়ায় মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে দাবি বিহীন ৭ হাজার দলিল পুড়িয়ে ধ্বংস

ছবি

হাটহাজারীতে বিয়ের বৈঠকে ছুরিকাঘাতে নিহত ১, আহত ২

ছবি

শিবচরে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন নাদিরা আক্তার

ছবি

সিরাজগঞ্জে পেঁয়াজ ও বেগুনের দাম ঊর্ধ্বমুখী

ছবি

কিশোরগঞ্জে বাসের ধাক্কায় আহত শিক্ষকের মৃত্যু

ছবি

মানিকগঞ্জে ৭ উপজেলায় খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা

ছবি

হবিগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল তরুণীর

ছবি

কলমাকান্দায় হানাদার মুক্ত দিবস আজ

ছবি

শেরপুরে দইয়ের বাজার মন্দা, বিপাকে খামারীরা

ছবি

ডিমলায় নাশকতার ঘটনায় মামলা না হওয়ায় উত্তেজনা

ছবি

গঙ্গাচড়ায় ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক আটক

ছবি

ঝালকাঠি প্রেসক্লাব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

ছবি

শিমুলিয়া ঘাটে পোর্ট অফিসারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে আটকে মারধরের অভিযোগ

ছবি

ঝালকাঠিতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

ছবি

বেগম জিয়া দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে সমান জনপ্রিয় -ড. মঈন খান

ছবি

সরবরাহ বাড়লেও সীমার বাইরে শীতকালীন সবজির দাম

ছবি

বরেন্দ্রের লাল মাটিতে টমেটো বিপ্লব স্বাবলম্বী হাজারো কৃষক

ছবি

শেরপুরে ২৪ ঘণ্টায় ৩টি মোটরসাইকেল চুরি

ছবি

তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে জেগে উঠা ডুবোচর

ছবি

তারাগঞ্জে সার সংকট গুজব, ডিলারের বিশ হাজার জরিমানা

ছবি

শীতে গরম জিলাপির ঘ্রাণে মুখর চরফ্যাসন বিক্রি বাড়ছে কয়েকগুণ

ছবি

মহম্মদপুর আদিবাসী পল্লীতে মতুয়া সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ছবি

রৌমারতে শীতার্ত মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ

ছবি

দুমকিতে জনবল সংকটে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কার্যক্রম ব্যাহত

ছবি

সাপাহারে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ

ছবি

জয়পুরহাটে ৪৫ ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়ন নেই ২৭টির

ছবি

বদলি- প্রশিক্ষণে শূন্য চুনারুঘাট, থমকে আছে জরুরি সেবা

ছবি

বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবীতে প্রতিবাদ সভা

ছবি

তরমুজের লোভে বন উজাড়, ভেঙে পড়ছে উপকূলের সবুজ বেষ্টনী

ছবি

মহম্মদপুরে ঘোপ বাঁওড়ে অতিথি পাখির বিচরণে মুখরিত

ছবি

টাঙ্গাইলে কৃষকের রোপা আমন চাষে সাফল্য

ছবি

বেতাগীতে শীতবস্ত্রের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে

tab

রোববার ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

রোববার ৭ ডিসেম্বর। চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ভারত সীমান্ত ঘেঁষা চুয়াডাঙ্গা জেলা পাকহানাদার মুক্ত হয়। এ দিন মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর তুমুল প্রতিরোধের মুখে পাকহানাদার বাহিনী এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা অভিমুখে পালিয়ে যায়। হানাদারমুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা। দিবসটি পালনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মসুচি গ্রহণ করা হযেছে।

১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর জেলার জীবননগর শহরে পাকহানাদার বাহিনীর পতন ঘটলেও চূড়ান্ত বিজয় আসে ৪ ডিসেম্বর। এদিন সকালে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কমান্ডার মেজর দত্ত ও বর্ম্মা এবং ৮ নম্বর সেক্টরের ভারতের বানপুর সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী যৌথভাবে জীবননগরের ধোপাখালী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে প্রবেশ করে। তারা চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, দত্তনগর, হাসাদহ সন্তোষপুর, রাজাপুর, ধোপাখালী ও মাধবখালীতে অবস্থানরত পাকবাহিনীর উপর অতর্কিতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এ সময় রাজাপুর ও মাধবখালী সীমান্তে সন্মুখ সমরে শাহাদৎ বরণ করেন হাবিলদার আব্দুল গফুর, নায়েক আব্দুল মালেক, আব্দুর রশিদ, সিপাহী সিদ্দিক আলী, আব্দুল আজিজ ও আবু বকর। যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর ২৯ বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা যৌথ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়ে পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহের দিকে পালিয়ে যায়। এ সময় জীবননগর থানায় ফেলে যাওয়া পাকবাহিনীর ক্যাপ্টেন নারী ধর্ষণকারী ও অমানুষিক নির্যাতনকারী হিসেবে চিহ্নিত মুনছুর আলীর ব্যবহ্যত জিপ গাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা আগুন ধরিয়ে দেয়। থানার মালখানা থেকে উদ্ধার করা হয় পাশবিক নির্যাতনের পর সদ্য হত্যা করা ৭/৮ জন অজ্ঞাত পরিচয় যুবতীর লাশ। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও দামুড়হুদা অঞ্চল দিয়ে পাকবাহিনীর উপর গেরিলা আক্রমণ শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী। এর ফলে চুয়াডাঙ্গা পুরোপুরি শত্রু মুক্ত হওয়ার পথ সুগম হয়।এরপর ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহরমুখী মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর ব্রিজের একাংশ শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেয়। যাতে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অনুসরণ করতে না পারে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহর ও আলমডাঙ্গা অতিক্রম করে কুষ্টিয়ার দিকে চলে যায়।

এরপর ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুরোপুরি শত্রু মুক্ত হয়। এ দিন স্বতঃস্ফুর্ত মুক্তিপাগল মুক্তিযোদ্ধারা চুয়াডাঙ্গার মাটিতে প্রথম লাল-সবুজ খোচিত স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। শুরু হয় প্রশাসনিক কর্মকান্ড। মোস্তফা আনোয়ারকে মহকুমা প্রশাসক করে এখানে বেসামরিক প্রশাসন চালু করা হয়। দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গাকে মুক্ত করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

back to top