আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) : রায়কালী উচ্চ বিদ্যালয় -সংবাদ
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন ফি নিয়ে ভোগান্তির অভিযোগ উঠেছে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও প্রধান শিক্ষক শিক্ষা বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন ফি জমা না দেওয়ায় পরবর্তীতে বিলম্ব ফি দিয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এছাড়া সিলেবাসের বাইরে কেনা প্রশ্নপত্রে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ, বিলম্বে বিদ্যালয়ে আসা, নির্ধারিত সময়ে শিক্ষকদের হাজিরা স্বাক্ষর না নেওয়া, অনলাইন ব্যাতিত হাতে ভর্তি পক্রিয়া সম্পন্নকরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
প্রধান শিক্ষক বলেন, নবম শ্রেণির রেজিষ্ট্রশনের ফি শিক্ষা বোর্ড জমা দেওয়ার বিষয়টি তিনি জানতেন না। পরে শিক্ষার্থীরা প্রতি ৫০ টাকা জরিমানা দিয়ে বোর্ডে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত আদায়কৃত টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে।
জানা গেছে, নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী প্রতি ৩শ ১৬ টাকা রেজিষ্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করে গত ১৯ জুন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড পত্র জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে চলতি বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জরিমানা ব্যতিত ৩শ ১৬ টাকা হারে ফি বোর্ডে জমা দিতে হবে। জরিমানাসহ ৩শ ৬৬ টাকা। কিন্তু সেই প্রত্রটি গুরুত্ব দেননি প্রধান শিক্ষক। নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলে গত ১ ডিসেম্বর তিনি ১শ ১৬ শিক্ষার্থীর জনপ্রতি ৫০ টাকা বিলম্ব ফিসহ ৩শ ৬৬ টাকা হারে বোর্ডে ফি জমা দেন। পরে তিনি বিনা রশিদে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিলম্ব ফিসহ ৪শ টাকা আদায় করছেন। এতে রেজিষ্ট্রেশন করতে প্রতি শিক্ষার্থীকে ৮৬ টাকা করে অতিরিক্তি গুনতে হয়েছে।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে ১ ডিসেম্বর থেকে রেজিষ্ট্রেশন শুরু হয়েছে। রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য ৪০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। আমরা টাকার কোন রশিদও পাইনি। আমরা বিষয়টি হেড স্যারকে জানালেও কোন সমাধান পাইনি।
অভিভাবক খাতিজা খাতুন বলেন, তার অর্থ কেলেঙ্কারীসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে এর আগে অনেকবার শিক্ষা প্রশাসনে অভিযোগ হয়েছিল।
জেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অভিযোগ ছিল। আমরা সেগুলো তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। বর্তমানে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্তি টাকা নেওয়া বিধান নাই।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. শামীম হাসান মুঠোফোনে বলেন, এটা দুঃখজনক। শিক্ষকের ভুলের খেসারত শিক্ষার্থীরা দিবে এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) : রায়কালী উচ্চ বিদ্যালয় -সংবাদ
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন ফি নিয়ে ভোগান্তির অভিযোগ উঠেছে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও প্রধান শিক্ষক শিক্ষা বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন ফি জমা না দেওয়ায় পরবর্তীতে বিলম্ব ফি দিয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এছাড়া সিলেবাসের বাইরে কেনা প্রশ্নপত্রে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ, বিলম্বে বিদ্যালয়ে আসা, নির্ধারিত সময়ে শিক্ষকদের হাজিরা স্বাক্ষর না নেওয়া, অনলাইন ব্যাতিত হাতে ভর্তি পক্রিয়া সম্পন্নকরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
প্রধান শিক্ষক বলেন, নবম শ্রেণির রেজিষ্ট্রশনের ফি শিক্ষা বোর্ড জমা দেওয়ার বিষয়টি তিনি জানতেন না। পরে শিক্ষার্থীরা প্রতি ৫০ টাকা জরিমানা দিয়ে বোর্ডে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত আদায়কৃত টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে।
জানা গেছে, নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী প্রতি ৩শ ১৬ টাকা রেজিষ্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করে গত ১৯ জুন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড পত্র জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে চলতি বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জরিমানা ব্যতিত ৩শ ১৬ টাকা হারে ফি বোর্ডে জমা দিতে হবে। জরিমানাসহ ৩শ ৬৬ টাকা। কিন্তু সেই প্রত্রটি গুরুত্ব দেননি প্রধান শিক্ষক। নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলে গত ১ ডিসেম্বর তিনি ১শ ১৬ শিক্ষার্থীর জনপ্রতি ৫০ টাকা বিলম্ব ফিসহ ৩শ ৬৬ টাকা হারে বোর্ডে ফি জমা দেন। পরে তিনি বিনা রশিদে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিলম্ব ফিসহ ৪শ টাকা আদায় করছেন। এতে রেজিষ্ট্রেশন করতে প্রতি শিক্ষার্থীকে ৮৬ টাকা করে অতিরিক্তি গুনতে হয়েছে।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে ১ ডিসেম্বর থেকে রেজিষ্ট্রেশন শুরু হয়েছে। রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য ৪০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। আমরা টাকার কোন রশিদও পাইনি। আমরা বিষয়টি হেড স্যারকে জানালেও কোন সমাধান পাইনি।
অভিভাবক খাতিজা খাতুন বলেন, তার অর্থ কেলেঙ্কারীসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে এর আগে অনেকবার শিক্ষা প্রশাসনে অভিযোগ হয়েছিল।
জেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অভিযোগ ছিল। আমরা সেগুলো তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। বর্তমানে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্তি টাকা নেওয়া বিধান নাই।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. শামীম হাসান মুঠোফোনে বলেন, এটা দুঃখজনক। শিক্ষকের ভুলের খেসারত শিক্ষার্থীরা দিবে এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।