নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় ‘মোবাইল চার্জার বিস্ফোরণের’ পর ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে একই পরিবারের শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার,(০৬ ডিসেম্বর ২০২৫) ভোরে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের পাটাত্তা এলাকায় ছয়তলা বাড়ির তিনতলার একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান খান। সকালে দগ্ধদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- পোশাক শ্রমিক মো. আলাউদ্দিন (৩৫), তার দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪) ও সিমলা আক্তার (৪) এবং আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম (৬৫)। তারা ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া। তাদের মধ্যে আলাউদ্দিনের শরীরের ৪০ শতাংশ, সিমলার ৩০ শতাংশ, জরিনা বেগমের ২০ শতাংশ এবং শিফার ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন চিকিৎসক শাওন বিন রহমান।
পুলিশ পরিদর্শক রাশেদুল হাসান খান বলেন, ওই এলাকার আজিম উদ্দিনের ছয়তলা বাড়ির তিনতলার একটি কক্ষে চারজন ভাড়া থাকেন। ভোরে চার্জে লাগানো মোবাইলের চার্জার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ‘শুরুতে আগুনের বিষয়ে তাদের কেউ জানাননি। পরে খবর পেয়ে দুপুরে তাদের একটি দল বাড়িটি পরিদর্শন করেছেন। ‘পরিবারটি যে কক্ষে ভাড়া থাকতেন তার পাশেই ছোট রান্নাঘর। রান্নাঘরে তিতাসের লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমা ছিল বলে ধারণা করছি।’
আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার বলেন, তার ভাই কাঁচপুর এলাকার ‘অনন্ত গার্মেন্টস’ নামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আলাউদ্দিন টয়লেট থেকে ঘরে কিছু বিস্ফোরণের শব্দ পান। তিনি ঘরে ঢুকে দেখেন, বিছানায় আগুন এবং তার মা ও দুই মেয়ের শরীর ঝলসে গেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে আলাউদ্দিনও দগ্ধ হন। দগ্ধরা ভবনের নিচে নেমে বের হতে চাইলে, বাড়ির গেইটে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান সালমা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় ‘মোবাইল চার্জার বিস্ফোরণের’ পর ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে একই পরিবারের শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার,(০৬ ডিসেম্বর ২০২৫) ভোরে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের পাটাত্তা এলাকায় ছয়তলা বাড়ির তিনতলার একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান খান। সকালে দগ্ধদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- পোশাক শ্রমিক মো. আলাউদ্দিন (৩৫), তার দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪) ও সিমলা আক্তার (৪) এবং আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম (৬৫)। তারা ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া। তাদের মধ্যে আলাউদ্দিনের শরীরের ৪০ শতাংশ, সিমলার ৩০ শতাংশ, জরিনা বেগমের ২০ শতাংশ এবং শিফার ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন চিকিৎসক শাওন বিন রহমান।
পুলিশ পরিদর্শক রাশেদুল হাসান খান বলেন, ওই এলাকার আজিম উদ্দিনের ছয়তলা বাড়ির তিনতলার একটি কক্ষে চারজন ভাড়া থাকেন। ভোরে চার্জে লাগানো মোবাইলের চার্জার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ‘শুরুতে আগুনের বিষয়ে তাদের কেউ জানাননি। পরে খবর পেয়ে দুপুরে তাদের একটি দল বাড়িটি পরিদর্শন করেছেন। ‘পরিবারটি যে কক্ষে ভাড়া থাকতেন তার পাশেই ছোট রান্নাঘর। রান্নাঘরে তিতাসের লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমা ছিল বলে ধারণা করছি।’
আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার বলেন, তার ভাই কাঁচপুর এলাকার ‘অনন্ত গার্মেন্টস’ নামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আলাউদ্দিন টয়লেট থেকে ঘরে কিছু বিস্ফোরণের শব্দ পান। তিনি ঘরে ঢুকে দেখেন, বিছানায় আগুন এবং তার মা ও দুই মেয়ের শরীর ঝলসে গেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে আলাউদ্দিনও দগ্ধ হন। দগ্ধরা ভবনের নিচে নেমে বের হতে চাইলে, বাড়ির গেইটে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান সালমা।