রায়পুরে দিন দিন বাড়ছে ভাসমান পিঠার দোকান। বাড়িতে পিঠা বানানোর ঝামেলার কারনেই শীতের শুরুতে পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে পৌর শহরের ফুটপাতগুলোতে। হরেক রকমের ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে ভিড় করছেন ভোজনরসিকরা। বিকেল হলেই ক্রেতারা ভিড় করছেন ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে। এদিকে পিঠার মৌসুমি এই ব্যবসা অনেক দরিদ্র মানুষের উপার্জনের পথ খুলে দিয়েছে। পিঠা বিক্রির আয়ে চলছে অনেকের সংসার। পৌর শহরের জীবনের নানা ব্যস্ততায় যারা ঘরে পিঠা বানিয়ে খাওয়ার সময় পান না, তাঁরা এসব দোকান থেকে পিঠা কিনে নেন। সরজমিন দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন গলি ও মার্কেটের এক কোনায় রাস্তার পাশে পিঠার ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো দিন দিন জমে উঠছে। শুরুতে দুই একটি থাকলো। এখন শহরে অর্ধ শতাধিক পিটার দোকান রয়েছে। নারী ও পুরুষরা এই দোকান করছেন। শীতের সন্ধ্যায় সেখানে পিঠা খেতে ভিড় জমিয়েছে নানা বয়সী মানুষ। পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা। খোলায় বানানো হচ্ছিল চিতই পিঠা। তৈরি হতেই গরম গরম ধোঁয়া উঠছে পিঠায়। চিতই পিঠা ক্রেতাদের জন্য ধনেপাতা, কালোজিরা, শুঁটকিসহ নানান ধরনের ভর্তা দিয়ে পিঠা খেতে ভালোই লাগে। শহর ছেড়ে গ্রামগঞ্জে কম যাওয়া হওয়ার কারণে ছেলে মেয়ে নিয়ে সব দোকানে ভিড় করছেন শহরের বাসিন্দারা। বিকেল থেকে রাত ৯টার পর্যন্ত এই পিঠা বিক্রি হয়। দৈনিক এক এক দোকানদার ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা বিক্রি করেন। কয়েকজন পিঠা ক্রেতারা জানান, চিতই পিঠা বিভিন্ন ধরনের ভর্তা দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে। মৌসুমি পিঠার দোকানে ভিড় লেগেই থাকছে। এসব দোকানে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হচ্ছে। শীত যত বাড়বে পিঠা বিক্রিও তত বাড়বে। শীতে এ পিঠা না খেলে চলে না। বাড়িতে শীতের পিঠা বানাতে চাল গুঁড়া করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই শীতের পিঠার স্বাদ নিতে ভাসমান দোকানগুলোর ওপর ভরসা করে থাকেন তাঁরা। ১২ বছর ধরে পিঠা বিক্রেতা শিউলি বেগম বলেন, ঢেঁকিতে চাল কুটে তিনি পিঠা তৈরি করেন। যার কারণে তার পিঠা ভালো হয়। এখন দিনে প্রায় ২০-২৫ কেজি চালের পিঠা বিক্রি করছেন। পার্সেলে ২’শ থেকে ৩’শ পিঠা প্রতিনিয়তই যাচ্ছে। পিঠার সঙ্গে ৪ ধরনের ভর্তা ফ্রি দেন। শীত যত বাড়বে তার পিঠা বিক্রিও তত বাড়বে। তার পরেও এখন প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা বিক্রি হয়।