বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নে দুস্থ মায়েদের মাঝে বিনামুল্যে সরকারি চাল সহায়তা দিতে উপকারভোগীদের কাছ থেকে অনৈতিক অর্থ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। শতাধিক দুস্থ নারী এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে বলা হয় কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নের ২৪৮ জন দুস্থ মাতার কাছ থেকে ইউপির প্রশাসক উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম হাসান এ অর্থ আদায় করছেন। সম্প্রতি বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বাধাল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কচুয়া উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম ওই ইউনিয়নে ২৪৮জন দুস্থ মাতার নামে বরাদ্দকৃত ৩০ কেজি করে সরকারি চাল বিতারণে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সহায়তায় পরিবহণ খরচ বাবদ প্রতিমাসে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে আদায় করছেন। অথচ দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত এ চালের পরিবহন খরচ খাদ্য অধিদপ্তর বহন করে থাকেন। প্রায় এক বছর ধরে এ সব কার্ডধারীদের নিকট থেকে প্রতিমাসের পরিবহণ খরচ বাবদ এ পর্যন্ত লক্ষাধিক টাকা তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন।
অভিযোগ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্র্মতা মো. হাসান ইমাম বলেন, আমি পরিবহণ খরচতো দুরের কথা বাধাল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত কারো কাছ থেকে একটি টাকাও গ্রহণ করিনি। এটি আমার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র ও অপ-প্রচার।
এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলী হাসান রবিবার সকালে বলেন, বাগেহরাট জেলা প্রশাসক বরাবরে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন কার্ডধারীরা। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিলে এ বিষয়ে পরবর্তি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।