টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার উন্নয়ন, শৃঙ্খলা ও মানবিক সেবায় নতুন গতি এনেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই মাঠপর্যায়ে তার সক্রিয় ভূমিকা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং মানবিক সেবায় সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অর্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সহায়তা ও উৎসাহ প্রদান তার অন্যতম মানবিক কর্মকা-। একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, ইউএনও’র সহযোগিতা না পেলে তাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেত। এতে অভিভাবকদের মাঝেও তৈরি হয়েছে স্বস্তি ও আশার বাতাবরণ। যেকোনো সমস্যার কথা জানামাত্রই তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন-রাস্তার সমস্যা, জনদুর্ভোগ বা অবৈধ বালু উত্তোলন, সব ক্ষেত্রেই তার উপস্থিতি দ্রুত সমাধান এনে দিচ্ছে। এলাকাবাসী বলছেন, বর্তমান ইউএনও’র কাছে সমস্যা জানালে সমাধান নিশ্চিত-এটাই সবচেয়ে বড় স্বস্তি। উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনেও এসেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন। উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপন করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন লাইট, সেলফি কর্নার আমাদের কালিহাতী এবং বিভিন্ন জনবান্ধব সুবিধা। কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুটপাত দখলমুক্ত করে লাগানো হয়েছে সৌন্দর্যবর্ধনকারী ফুলের গাছ। পৌর এলাকায় নতুন সড়ক বাতি স্থাপনের ফলে বেড়েছে রাতের নিরাপত্তা জলাবদ্ধতা নিরসনেও রয়েছে তার কার্যকরী উদ্যোগ। চুরি-ছিনতাই রোধে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, অবৈধ বালু উত্তোলন প্রতিরোধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং বিভিন্ন নির্মাণকাজ সরেজমিনে তদারকি-এসব মিলিয়ে প্রশাসনিক তৎপরতায় তিনি ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছেন। স্থানীয়দের ভাষায়- যেখানে সমস্যা, সেখানে ইউএনও খায়রুল ইসলাম। মানবিকতা, কর্মদক্ষতা ও দায়িত্ববোধের কারণে তিনি এলাকাবাসীর কাছে ইতোমধ্যে একজন কর্মবীর ইউএনও এবং প্রশাসক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন, শৃঙ্খলা, জনসেবা ও মানবিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে ইউএনও মো. খায়রুল ইসলামের উদ্যোগ এখন এলাকাজুড়ে আলোচনায়।
তার দায়িত্বশীলতা, দ্রুত পদক্ষেপ ও জনবান্ধব মনোভাব সাধারণ মানুষের প্রত্যাশায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। স্থানীয়দের বিশ্বাস-এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে কালিহাতীর উন্নয়নচিত্র আরও এগিয়ে যাবে সামনের দিনে।