হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় শীতের শুরুতেই লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে ক্রেতা ও কারিগরের চাপ দেখা দিয়েছে। দাম বাড়ার কারণে ক্রেতারা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি খরচ করতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, লেপ-তোষক বানানোর উপকরণ এবং কারিগরদের মজুরি উভয়ই বেড়ে গেছে। স্থানীয় কারিগররা বলছেন, ৫-৭ ফিট সাইজের জাজিম বানাতে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা, ৬-৭ ফিট সাইজের জাজিমের জন্য ৫০০-৫৫০ টাকা, ৪-৫ হাত সাইজের লেপ বানানোর মজুরি ৩৫০ টাকা, ৫ হাত বাই ৫ হাত সাইজের লেপের মজুরি ৪৫০ টাকা এবং ৬ ফিট বাই ৭ ফিট সাইজের তোষকের জন্য ৪০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। দোকান মালিকরা জানিয়েছেন, দৈনিক প্রায় ৭-৮টি লেপ বানানো হচ্ছে। শীত যত বাড়ছে, কারিগরদের কাজের চাপও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চুনারুঘাট উপজেলার লেপ-তোষক কারখানার মালিক মোহাম্মদ খোকন মিয়া জানান, লাল শালুর ভালো মানের গজ খুচরা পর্যায়ে ৬০ টাকা এবং মাঝারি মানের ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তোষক বানানোর কাপড়ের দাম প্রতি গজে ১-২ টাকা বেড়েছে। জাজিমের কাপড়ের দাম বেড়ে ১২০-১৩০ টাকা হয়েছে। কারিগররা বলেন, শীতের মৌসুমে শহর ও গ্রামে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি থাকে। তবে এখন শীত পুরোপুরি শুরু না হওয়ায় চাপ কিছুটা কম। প্রতিদিন তারা ৪-৫টি লেপের অর্ডার পাচ্ছেন, ভরা মৌসুমে সংখ্যা ১৫-২০ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ক্রেতারা বলছেন, দাম বৃদ্ধি সত্ত্বেও শীতের এই সময় লেপ-তোষক কেনা ছাড়া উপায় নেই।