ধান কাটার পুরো মৌসুম। চলতি মৌসুমে ফলন ভাল হলেও, দাম কম। লাভবান হতে পারছেনা রাঙ্গাবালীর কৃষক। খরচ উঠাতে পারবে কি না এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকের। হালুটি এখন ব্যয়বহুল পেশা। পুজি খাটাতে হয় অনেক বেশি। তাই হালুটির প্রতি অনিহা প্রকাশ করেন কেউ কেউ।
রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের কাছে জানা গেছে, আগে এই এলাকায় সাদ মোটা, কালাকোড়া, কাজলশাইল, রাজাশাইল নামের মোটা জাতীয় ধান চাষ করা হতো।
ওইসব ধানে সার ও কীটনাশক প্রয়োজন হতোনা তেমন। তারপরও যে ফসল হতো, ওই ফসলের জন্যই রাঙ্গাবালী, কৃষি নির্ভর এলাকা হিসেবে বিবেচিত। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে সেই মোটা ধান। ওই ধানের জায়গা দখল করেছে বিভিন্ন জাতের ইরি। যা সার ও কীটনাশক ছারা উৎপাদনের চিন্তাও করা যায়না। এতে ফলন ভাল হলেও খরচ হয় অনেক বেশি।
কৃষকদের দেয়া এক হিসাবে পাওয়া গেছে, ইরি চাষে একর প্রতি খরচ হয় ন্যুনতম ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। ধান হয় সর্বোচ্চ ৩০ মন। যার বর্তমান মুল্য ৩০ হাজার টাকা। তা ও ৪৮ কেজির মন। এখানে নামমাত্র লাভের মুখ দেখলেও এমন অনেক জমি আছে, যে জমিতে ধান পাওয়া যায় একর প্রতি ২০ মনেরও কম। তাই গড় করে দেখা গেছে, লাভের চেয়ে লোকশানের পাল্লা ভারী।
রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের কৃষক ইউসুব মিয়া বলেন, সব জমিনে সমান ধান হয়না। তারপরও যা হয়েছে খারাপ হয় নাই। তবে গত বছরের চেয়ে মনপ্রতি ২০০ টাকা কম দামে বিক্রি করছি।
তাতে লাভ হয় নাই। মোটামোটি টিকে আছি আর কি। বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে কাটাখালী গ্রামের কৃষক আশরাফ মিয়া বলেন, গত বছরের চেয়ে এবছর কানি প্রতি (২-৫০ শতাংশ) ৩০ মন ধান কম হয়েছে, আবার কিছু কিছু জমিতে ভালও হয়েছে। গত বছরের মতো দাম থাকলে লাভ করতে পারতাম।