চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ভারাম্বা খাল গিলে খাচ্ছে চলাচলের রাস্তা ও বসতবাড়ি। উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কর্ণফুলি নদী থেকে বয়ে যাওয়া ভারাম্বা খালটি ১০নং আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়নের বৈদ্যানি খালে গিয়ে মিশেছে। এ ভারাম্বা খালের পশ্চিম পাশে ৫নং ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়া, বড়ুয়া পাড়া ও জলদাসপাড়ায় রয়েছে বসবাসরত একাধিক বসতবাড়ি ও হাজারো মানুষের চলাচলের রাস্তা। খালের পূর্ব পাশে রয়েছে শান্তিবাজার, কুলালপাড়া ও আমীর পাড়ার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ।
এই খালের অব্যাহত ভাঙনে দু’পাশের সড়ক, বসতবাড়িসহ খালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে খালের ভাঙনে পড়েছে বড়ুয়াপাড়া-চৌধুরী পাড়া সড়ক। প্রায় দেড় কিলোমিটার এ মাটির কাঁচা সড়ক দিয়ে দৈনন্দিন ১ হাজার মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়াত করেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্ষা মৌসুমে গ্রামবাসীর দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। পায়ে হাঁটাও কষ্টকর হয়ে পড়ে। এ সড়কের সাথে লাগোয়া ভারাম্বা খালের ভাঙনে কাঁচা সড়কটির বেশ কিছু অংশ প্রায় বিলীন হওয়ার পথে।
পূর্ব পাড়ের পাকা সড়কটির বেশ কয়েকটি জায়গা খালের সাথে মিশে গেছে। যান চলাচল বন্ধ। ভাঙনের মুখে রয়েছে কবরস্থান, মসজিদসহ তিন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় স্থাপনাসহ বসতবাড়ি। বড়ুয়া পাড়ার পলাশ বড়ুয়া, ননা বড়ুয়া, মিলন বড়ুয়া ও জলদাশ পাড়ার বাসিন্দা রাখাল দাশ ও রসনা দাশ জানান, খালের অব্যাহত ভাঙনে গিলে খাচ্ছে বাড়ি ঘর। কাঁচা সড়কটিও বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তারা বলেন, শিশু-বৃদ্ধ ও শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন নিত্য ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। দুর্ভোগে থাকা মানুষের ভোগান্তি লাঘবে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।
কালিছরি মন্দির এলাকার রতন মাষ্টার বলেন, মাত্র দেড় কিলোমিটার সড়ক পাকা হলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে প্রায় ১০ হাজার মানুষজন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. হাছান চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ খালের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে বাড়িঘরসহ বেশকিছু স্থাপনা। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙনরোধে পদক্ষেপ না নিলে জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে বলে জানান তিনি।
শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব এমদাদ আনছারি বলেন, খালের দুই পাশের ভাঙনরোধ ও সড়ক পাকাকরণ জরুরী হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে অনেকের বাড়িঘর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা খালের ভাঙনে পড়েছে। এছাড়া কাঁচা সড়কটি পাকা করলে এই জনপদে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
উপজেলা সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক জানান, খালের ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লকের কাজ চলমান রয়েছে। ব্লকের কাজ শেষ হলে শান্তি বাজার থেকে আমীর পাড়া ৫০০ মিটার পর্যন্ত সড়কের কাজ করা করা হবে।