গোবিন্দগঞ্জে আস্থা ফিডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আস্থা ব্রিডার্স লিমিটেডের একটি পোলট্রি খামারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় আগুনে পুড়ে খামারে থাকা প্রায় দশ হাজার মুরগি মারা গেছে। গত মঙ্গলবার রাতের দিকে উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের ফাঁসিতলা এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক সংলগ্ন উইলো ফার্ম অ্যান্ড হ্যাচারিতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ও খামার কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ রাতে খামারের চতুর্থ তলার একটি অংশে হঠাৎ আগুন লাগলে তা মুহূর্তের মধ্যে সম্পূর্ণ ফ্লোর ও টিনশেড ছাদে ছড়িয়ে পড়লে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে গাইবান্ধা সদর, পলাশবাড়ি, গোবিন্দগঞ্জ এবং বগুড়ার সোনাতলা ও শিবগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ৭টি ইউনিট একযোগে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করে এবং স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সেই সঙ্গে গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজার নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স দুর্ঘটনার সময় খামার এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ। খামারের ম্যানেজার জাহিদ মোল্লা বলেন, সারাদেশে আমাদের কোম্পানির ৩৭টি খামার রয়েছে। তার মধ্যে এই খামারে মোট ৮০ হাজার মুরগি ছিল। আগুনে প্রায় ৯ হাজার ৬ শত মুরগি পুড়ে মারা গেছে। যার আনুমানিক আর্থিক মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, আগুনের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে আসে। তবে এর আগেই চতুর্থ তলার মুরগি পুড়ে গেছে। ভবনের অন্যান্য ফ্লোরগুলো থেকে নিরাপদে মুরগি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। অধিক তাপ ও কালো ধোঁয়ার ভেতর থেকে উদ্ধার করা মুরগির বর্তমান অবস্থা এবং করণীয় বিষয়ে একজন ভেটেরিনারি ডাক্তার ভালো বলতে পারবেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত পোলট্রি খামার পরিদর্শন করেছি। খামারের অবশিষ্ট মুরগি সুস্থ ও স্বাভাবিক আছে। খামার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সবধরনের চিকিৎসা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।