এবার পৌস মাসের আগেই রংপুর সহ বিভাগের ৮ জেলায় প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহ চলছে, প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়ায় ৪ দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে অবস্থান করার পর বৃহস্পতিবার, (১১ ডিসেম্বর ২০২৫) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। রংপুর বিভাগে শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায়। এর পরেই রয়েছে ঠাকুরগাও জেলায় সেখানে আজকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
অন্যদিকে রংপুর বিভাগের অন্যান্য জেলায় তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা ৫ থেকে ৬ ডিগ্রীতে নেমে আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে রংপুর আবহাওয়া অফিস।
এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে নিউমোনিয়া, সর্দ্দি জ্বর কোল্ড ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগ বালাই ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন এবার একমাস আগে থেকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করলেও গত ১০ দিন থেকে ক্রমাগত ভাবে তাপ মাত্রা কমছে। এবং প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। ফলে চলতি ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি তাপ মাত্রা ৫ থেকে ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নীচে নেমে আসার আগাম সতর্কবাতা দেয়া হয়েছে আবহাওয়া দপ্তর থেকে। তবে এবার কুয়াশার প্রকট অন্যান্য বারের তুলনায় কম। সন্ধার পর থেকে কুয়াশা পড়া শুরু হলেও মধ্যরাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকলেও সকালে কমে যায়।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা আজ বৃহসপতিবার সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ের তেুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অন্যদিকে ঠাকুরগায়ে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী, দিনাজপুরে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রী , রংপুরে ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রী,নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রী, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রী নীলফামারীর ডিমলায় ১২ ডিগ্রী লালমনিরহাটে ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রী এবং গাইবান্ধায় ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান সকাল ৭ টার পর কিছু এলাকায় সুর্যের মুখ দেখা গেলেও বেশীর ভাগ জেলায় মধ্যরাত থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়াছে। সেই সাথে হিমেল বাতাসের গত দুদিন ধরে সন্ধার পর থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে রাত যত গভীর হয় তাপমাত্রা ততই কমতে থাকে। তবে দিনের বেলা বিশেষ করে সকাল ৯ টার পর থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা একটু বেশী লক্ষ্য করা গেলেও বিকেল ৫ টার পর থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। ফলে সন্ধার পর রংপুর বিভাগে হিমেল বাতাস প্রবাহিত হবার কারনে শীতের তীব্রতা মারাত্মক বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে এবার আগাম শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সহায় সম্বল হতদরিদ্র ও ভাসমান মানুষদের জন্য শীত বস্ত্র ও শিশুদের গরম কাপড় দেবার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে রংপুর ত্রান বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এদিকে রংপুর বিভাগীয় প্রশাসকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীত বস্ত্র বরাদ্দ করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরকে চাহিদা পত্র দেয়া হলেও এখনও কোন বরাদ্দ আসেনি।
এদিকে শীত বাড়ার সাথে সাথে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ভাইরাস জ্বর, নিউমোনিয়া, কোল্ড ডায়রিয়া সর্দ্দি জ্বর , শ্বাস কষ্ট সহ বিভিন্ন রোগ বালাই বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ চিকিৎসা কেন্দ্র রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউট ডোরে প্রতিদিন শত শত শিশু জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসানিতে ভীড় করছে।
এ ব্যাপারে বিশিষ্ট শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা,শরীফুল ইসলাম জানান এবার আগাম শীতের তীব্রতা বাড়ছে। তিনি শিশুদের সন্ধার পর থেকে সকাল পর্যন্ত গরম পোশাক পড়িয়ে রাখা, ঠান্ডা যেন না লাগে সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: আইসিটি উইমেন অব দ্য ইয়ার স্বীকৃতি পেলো আম্বারীন রেজা
সারাদেশ: হারিয়ে যাচ্ছে মাটির ঘর
সারাদেশ: সুন্দরবনের মাছ ধরার সময় জেলে আটক