image
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

গজারিয়ায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি স্বর্ণ উদ্ধারসহ ৫ ডাকাত গ্রেপ্তার

বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ)

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া এলাকায় বাসযাত্রী দুই ভাইয়ের কাছ থেকে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করা স্বর্ণসহ ৫ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে মুন্সীগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)।

এ বিষয়ে গতকাল বুধবার মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, গত শনিবার বিকেলে ঢাকা থেকে যাত্রীবাহী বাসযোগে স্বর্ণ ব্যবসায়ী দুইভাই চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে মহাসড়কের গজারিয়া থানা এলাকা অতিক্রমের সময় পুলিশের পোশাক পরিহিত ৩ জনসহ ৫ জনের একটি ডাকাতদল স্বর্ণ ব্যবসায়ী দুইভাইকে মাদক মামলার আসামী তকমা দিয়ে যাত্রীদের সামনে হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে যায় এবং ডাকাত দলের নোয়া মাইক্রোবাসে তুলে তাদেরকে চোখ বেঁধে মারপিট করে ভয় দেখিয়ে তাদের নিকট থাকা ১৪৫ ভরি ০৮ আনা ০৪ রতি স্বর্ণালংকার, দুটি মোবাইল ফোন, কিছু পরিমান নগদ টাকা, ২টি এটিএম কার্ড এবং ১টি এনআইডি কার্ড রেখে ডাকাতরা ভিকটিম দুইজনকে গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানা এলাকায় হাত পা বেঁধে ফেলে রেখে যায়।

ডাকাতির ঘটনায় গজারিয়া থানায় মামলা রুজুর পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডাকাত চক্রের সদস্যদের আটক ও লুন্ঠিত স্বর্ণ উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার ঢাকার কাফরুল থানা এলাকা থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত নোয়া মাইক্রোবাসের চালক মো. জাকির হোসেনকে (৩৮) গ্রেফতার করে তার হেফাজত তাকা ১০ ভরি ০৪ আনা স্বর্ণ এবং নগদ ৭ লাখ টাকা উদ্বার করে।

তার দেয়া তথ্যমতে একই ভবনের ৩য় তলা হতে মো. আক্তারুজ্জামান মুন্সিকে(৪৩),গ্রেফতার করে তার হেফাজত হতে লুন্ঠিত স্বর্ণের ৪৩ ভরি ০১ আনা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ০২টি হ্যান্ডকাফ, ০২টি ওয়াকিটকি, ০৩ সেট পুলিশের পোষাক ও ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা নোয়া মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এবং দেওয়া তথ্যমতে ঢাকার মিরপুরের শাহ আলী থানা এলাকা হতে মো. রমজানকে (৩৫)গ্রেফাতার করা হয় এবং তার হেফাজত থেকে ২০ ভরি ০৮ আনা স্বর্ণালংকার, স্বর্ণ মাপার স্কেল, মাই টিভির আইডি কার্ড এবং স্বর্ণ বিক্রয়ের নগদ ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

অভিযানে মোট ৯৪ ভরি ১৪ আনা স্বর্ণালংকার এবং স্বর্ণ বিক্রয়ের নগদ ১৩ লাক ৫০ হাজার টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ০২টি হ্যান্ডকাফ, ০২ টি ওয়াকিটকি, পুলিশের ০৩ সেট ইউনিফর্ম ও সর্বমোট ০৭ টি মোবাইল ফোন ও ব্যবহৃত নোয়া গাড়ি উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী আকতারুজ্জামান মুন্সী, এসবি, ঢাকার সাব-ইন্সপেক্টর (ইতোমধ্যে বিভাগীয় ব্যবস্থাও গ্রহন করা হয়েছে) ও গ্রেফতারকৃত মোঃ রমজান আলী, পিতা- মৃত খোরশেদ আলী মানিকগঞ্জ জেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষক লীগের সভাপতি এবং মোঃ রমজান, পিতা- মো মৃতঃ কবির শেখ, ঢাকার শাহ আলী থানা এলাকার মাই টিভির প্রতিনিধি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

তাদের বিক্রি করা আরো কিছু স্বর্ণ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পলাতক আরো একজন ডাকাতকে গ্রেফতার এবং অবশিষ্ট লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ জানিয়েছে।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি