image

সুন্দরগঞ্জে চরাঞ্চলে আলু চাষের ধুম

বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
আঃ মতিন সরকার, প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এসে আলু চাষের ধুম পড়েছে। মৌসুমের শুরুতেই আলু চাষের প্রতি কৃষকদের অনীহা থাকলেও বর্তমানে আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলে আলু চাষের ব্যাপক সারা জেগেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাষাবাদের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন আলু চাষিরা। গত বছরের তুলনায় আলুর দাম অর্ধেকে নেমে আসায় রবি মৌসুমের শুরুতেই আলু চাষিরা এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। হিমাগারে রাখা আলু বীজের দাম না পাওয়ায় অবশেষে অনেক চাষি আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় চলতি রবি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১০০ হেক্টর। যা গত বছর ছিল ১ হাজার ৮০ হেক্টর। আলু চাষাবাদ বেশিরভাগ হয়ে থাকে তিস্তার চরাঞ্চলে। বর্তমানে বিএডিসি আলু বীজ বিক্রি হচ্ছে ৩৩-৩৫ টাকা কেজি। তবে খোলা বাজারের আলু বীজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি।

তারাপুর ইউনিয়নের চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের আলু চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, গত বছর পাঁচ বিঘা জমিতে আলু চাষ করে দেড় লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। তারপরও লাভের আশায় চলতি মৌসুমে ছয় বিঘা জমিতে আলু চাষ শুরু করেছি। তিনি আশাবাদী, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে লাভ হবে। তিনি বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে আলু চাষাবাদে খরচ হয় ১৭-২০ হাজার টাকা। আলুর ফলন ভাল হলে বিঘা প্রতি উৎপাদন হবে ৮০-৯০ মণ। হিমাগারে রেখে বিক্রি করলে প্রতি মণ বিক্রি হবে ২০০-২৫০ টাকা দরে। এতে দেখা যায়, বিঘা প্রতি লাভ হবে ৪-৫ হাজার টাকা। যদি দাম ভালো হয় তাহলে বিঘা প্রতি লাভ হবে ৮-১০ হাজার টাকা।

বিএডিসি আলু বীজ ডিলার সিরাজুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে আগাম আলু চাষির পরিমাণ অনেক কম। মাঝামাঝি সময়ে এসে ব্যাপক হারে আলু বীজ বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার বীজের দাম অনেক কম।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশিদুল কবির বলেন, ২০২৩ সালে আলুর বাজার বেড়ে যাওয়ায় ২০২৪ সালে আলুর ব্যাপক চাষাবাদ হয়। কিন্তু বর্তমানে বাজার দর কম হওয়ায় আলু চাষাবাদে অনেকের মাঝে অনীহা দেখা দেয়। হঠাৎ করে মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এসে উপজেলায় আলু চাষের ধুম পড়েছে। বীজ আলুর দাম কম হওয়ায় অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি