image
গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সদর উপজেলার হাতিয়া বিলে ডোবা থেকে পানি তুলে ইরি-বোরো চারায় দেয়া হচ্ছে -সংবাদ

উত্তরাঞ্চলে ইরি-বোরো বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত চাষীরা

শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

উত্তরাঞ্চলের চাষিরা বর্তমানে ইরি-বোরে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমিতে চারা রোপণের প্রস্ততি জোরদার হলেও সেচের সংকট চাষিদের জন্য বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খালবিল ও নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় চারা উৎপাদনের জন্য এখন ডোবা ও পুকুরের পানির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

রংপুর বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বীজ রোপণ করা হয়েছে। কিন্তু খালবিল শুকিয়ে যাওয়ায় সেচের ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। অনেক চাষী জানিয়েছেন, সময়মতো চারা তৈরি করতে না পারলে পুরো বোরো ধান উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার হাতিয়ার বিলের চাষি আলী আকবর জানান, ডোবার পানি দিয়ে চারা বড় করা হচ্ছে। তবে ডোবার পানি খুব বেশি দিন থাকবে না। যদি পর্যাপ্ত পানি না পাওয়া যায়, চারা সঠিক সময়ে গজাতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা মেশিনের মাধ্যমে বীজতলা তৈরি করি, কিন্তু এই পদ্ধতিতেও পর্যাপ্ত পানি প্রয়োজন। ডোবা বা পুকুরের পানি এক সময় শেষ হয়ে গেলে চারা তৈরি ব্যাহত হবে।

খামার বোয়ালীর চাষি আমিনুল ইসলাম জানান, এই সময়ে মেশিন ব্যবহার করে চারা তৈরি করা সাধারণ, কিন্তু পানি সংকট থাকায় পুকুরের পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। যদি বৃষ্টিপাত না হয়, আমাদের চারা উৎপাদনে বড় ধরনের সমস্যা হবে।

ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার মিন্টু মিয়া জানান, সেচের জন্য পানি সংকট কিছুটা রয়েছে। তবে, কৃষকেরা স্থানীয়ভাবে তা সমাধান করছে।

সাঘাটার কৃষক আকতারুজ্জামান জানান, চারা তৈরির সময় সঠিক পানি সরবরাহ না হলে ধান চাষের ফলন প্রভাবিত হবে। আমরা স্থানীয় চ্যানেল ও ডোবা থেকে পানি সংগ্রহের বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজছি।

চাষিরা আশা করছেন, স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ সেচের জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। পানি সংকট নিরসন না হলে শুধুমাত্র চারা উৎপাদনই নয়, পুরো বোরো মৌসুমের ফলনও কমে যেতে পারে।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি