image

শনিবার ১৩ ডিসেম্বর নীলফামারী হানাদার মুক্তি দিবস

শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
জেলা বার্তা পরিবেশক,নীলফামারী

শনিবার ১৩ ডিসেম্বর। নীলফামারী সদর উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নীলফামারীকে হানাদার মুক্ত করে শহরে চৌরঙ্গী মোড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে।

১৯৭১সালে যুদ্ধ চলাকালীণ সময়ে নীলফামারী মহকুমার অনেক নিরীহ সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে পাকসেনারা। পাকসেনাদের বর্বরতায় অতিষ্ঠ হয়ে এবং বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে নীলফামারীর অগণিত ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম শুরু করে। মিটিং, মিছিল ও সভা সমাবেশ হতে পাকিস্থানীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। প্রথমে মহকুমা শহরে রক্ষিত অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে ট্রেনিং শুরু করে মুক্তিকামী মানুষ এবং পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধারা পাশ্ববর্তী ভারতে গিয়ে স্বশস্ত্র ট্রেনিং নিয়ে ৬নং সেক্টরের কমান্ডার ক্যাপ্টেন খাদেমুল বাশারের নেতৃত্বে পাকসেনাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে গেরিলা আক্রমন চালায় মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধে টিকতে না পেরে ১২ডিসেম্বর রাতে পাক-হানাদার বাহিনী নীলফামারী শহর ছেড়ে সৈয়দপুর সেনানিবাসে আশ্রয় নেয়। ১৩ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করলে রাস্তায় নেমে আসে সাধারণ মানুষ। শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধা-জনতার বিজয় উল্লাস। এসময় স্থানীয় চৌরঙ্গী মোড়ে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন সংবাদকে বলেন, ৯ মাসের জীবন মরণ লড়াই আর সংগ্রামদেশকে হানাদার মুক্ত করারযে স্বপ্ন তা বাস্তবে রুপনেয় ১৩ ডিসেম্বর।যখন শুনলাম নীলফামারীথেকে পাকবাহিনী ভয়ে সৈয়দপুর সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছে তখন আমরা নীলফামারীতে প্রবেশ করি। ঐদিন সকালে নীলফামারী কলেজ ছাত্রাবাস ক্যাম্পের প্রতিটি কক্ষ তল্লাশি করে কিছু অস্ত্র উদ্ধার করি। এবং ওই ক্যাম্পের একটি বাংকার থেকে দুজন নির্যাতিত নারীকে উদ্ধার করা হয়। নীলফামারী হার নাদারমুক্ত হওয়া খবরে হাজারো মুক্তিকার্মী মানুষ আর মুক্তিযোদ্ধারা সব দু:খ কষ্ট ভুলে মেতে উঠে বিজয় উল্লাসে। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যদায় পালনে জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, দিনব্যাপী আনন্দ শোভাযাত্রা আলোচনাসহ নানান কর্মসূচি পালন করবে।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি