image

জমজমাট পুলি পিঠার ব্যবসা

শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর)

শীতের হালকা অনুভূতিতে গরম পুলি পিঠা খেতে বেশ মজা। হরেক রকমের পুলি পিঠা খেতেই সকালে, সন্ধ্যায় এবং রাতে নানা শ্রেনী পেশার, সব বয়সের মানুষের ভিড় দেখা যায় দেওয়ানগঞ্জের পৌর শহর সহ শহরতলি বাজার গুলোর মোড়ে মোড়ে ফুটপাতের উপর গড়ে উঠা ভ্রাম্যমাণ পুলি পিঠার দোকানগুলোতে। দোকান গুলোতে বানানো হয় ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, সাথে হাঁস মুরগি সিদ্ধ ডিম। চিতই পিঠার সাথে দেওয়া হচ্ছে সরিষা, ধনিয়া ও শুঁটকি ভর্তা। পিঠা খেতে লাইনে অপেক্ষায় থাকেন ক্রেতারা। কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ বেঞ্চের উপর বসে খেয়ে পিঠা খেয়ে থাকেন। আবার অনেকে পারসেল করে বাড়িতে নিয়ে যান। এভাবেই পিঠার দোকান গুলোতে সকালে ও বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভিড় লেগেই থাকে। পিঠা কারিগরা অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করেন। সুগারমিল এলাকার পিঠা ব্যবসায়ী বদি উজ্জামানের ভাষ্য, ২৬ বছর থেকে মিলগেটে মৌসুমি পিঠা ব্যাবসা করে আসছে। দেওয়ানগঞ্জের মানষ পিঠা প্রমী। এতে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার টাকা বিক্রি হয়। দেওয়ানগঞ্জ পৌর শহরের গোহাটি মোড়ের পিঠা বিক্রেতা মো. সহিদুল ইসলাম, হাজি মার্কেটের আজিরুদ্দি, থানা মোড়ের সামদ, বেলতলী বাজারের সাজল মিয়া সহ বেশ কয়েকজনের মতামত, তারা প্রত্যেকেই ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে পিঠা বিক্রি করে আসছেন। প্রতি বছর শীতের সময় তিন-চার মাস পিঠা ব্যাবসা হয়ে থাকে। ব্যবসায়ীরা সারা বছরের আর্থিক সচ্ছলতা গুছিয়ে নিতে পারেন। শীত শেষে ফের অপেক্ষায় থাকেন পরের বছরের শীতের জন্য। উপার্জিত আয় নিয়ে তারা প্রত্যকেই খুশি। আরো বলেন, যতদিন কর্মক্ষমতার সাথে বেঁচে থাকবেন ততদিন পুলি পিঠার ব্যাবসা করে যাবেন। পিঠা খেতে আসা স্থানীয়রা বলেন, শীতকাল এলেই দেওয়ানগঞ্জের মোড়ে মোড়ে হরেক রকমের পুলি পিঠা বিক্রি হয়। পিঠার দোকানগুলোতে ভিড় লেগেই থাকে। শীতকালীন ইমেজকে পুলি পিঠা পরিপূর্ণতা এনে দেয়।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি