উত্তরবঙ্গের জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবির কৃষক আমান ধান কাটা-মাড়াই শেষ করেই আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আলু চাষের জন্য জমি উপযোগী করতে শ্রমিকের সঙ্গে কৃষান-কৃষাণী সহ পরিবারের ছোট বড় সবাই কোমড় বেঁধে মাঠে কাজ করছেন।
গেল বছর আলুর দাম কম পেয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের তেমন লাভ হয়নি। সামনের বছর ভালো লাভের আশায় আবারও এবছর আলু চাষ করছেন। আলু চাষে বীজ, সার ও কীটনাশকের কিছুটা দাম বেশির অভিযোগ কিছু চাষীর। উপজেলার অংড়া গ্রামের আলু চাষী আমিনুল ইসলাম আমু মেম্বার বলেন, এ বছর তিনি নিজের এবং অন্যের জমি লিজ নিয়ে এক দাগে ৬০’বিঘা জমিতে আলু চাষ করছেন। এরইমধ্যে আলু রোপণ প্রায় শেষের দিকে। ৬’হাজার টাকা প্রতি বিঘা জমিতে আলু রোপণ খরচ হচ্ছে বলেও তিনি জানান। ১৫-২০ জন শ্রমিক একসাথে জোট বেঁধে আলু রোপণের কাজ করছে। আমু মেম্বার বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, গ্রানুলা, সানসাইন, ভ্যালেনসিয়া, বারি আলু ৮৬, মিউজিকা, আটলান্টিক, লাল -সাদা পাকড়ী জাতের আলু এবছর রোপণ করছেন। শ্রমিক ফরিদ হোসেন বলেন, আজ থেকে ৫’দিন আগে এই জমির ধান আমরাই কাটা মাড়াই করে দিয়েছি দলবদ্ধ ভাবে। আবার ৬’হাজার টাকা বিঘা প্রতি চুক্তিতে আলু রোপণ করছি। উপজেলার রতনপুর গ্রামের চাষি মামুনুর রশিদ প্রামাণিক বলেন, এবছর ৭’বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু লাগিয়েছি। তিনি আরো বলেন, আলু রোপণের ক্ষেত্রে জমি চাষ সার, কীটনাশক, বীজ ও শ্রমিক খরচ সবমিলিয়ে বিঘা প্রতি প্রায় (৩০-৩৫) হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ?উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে এ উপজেলায় আলু রোপনের লক্ষ্য মাত্রা ৮১০০ হেক্টর। তিনি আরো জানান, উপজেলার চাষীরা তাদের জমিতে ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, গ্রানুলা, এস্টারিক্স, সানসাইন, ভ্যালেনসিয়া, এ্যালুইট, কুইন এ্যানি, বারি আলু-৮৬, মিউজিকা, কারেজ, ফ্রেশ, আটলান্টিক, সূর্যমুখী, লাল পাকড়ী, সাদা পাকড়ী ও শীল বিলাতী ইত্যাদি জাতের আলু রোপণ করেছেন।
অর্থ-বাণিজ্য: স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১ হাজার ৫০ টাকা
অপরাধ ও দুর্নীতি: সাবেক মন্ত্রী গাজীসহ ৮জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা