নীলফামারীর ডিমলায় গতকাল বৃহস্পতিবার গর্ব, শোক ও শ্রদ্ধার মিশ্র আবেগে পালন করা হয় হানাদার মুক্ত দিবস । ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত ও বিতাড়িত করে মুক্তিযোদ্ধারা ডিমলাকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, নির্যাতন, লুটপাট ও নারকীয় অত্যাচারের অবসান ঘটে এই দিনে।
দিনটি উপলক্ষে আয়োজিত গতকাল বৃহস্পতিবার দিন ব্যাপী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে শহীদ মিনারে পুষ্প মাল্য অর্পণ, কালো ব্যাজ ধারণ, আলোচনাসভা ও বিভিন্ন স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষসহ নানা শ্রেণি-পেশার নাগরিক এতে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ১১ ডিসেম্বর ডিমলা ইতিহাসে এক গৌরময় উজ্জ্বল দিন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস,আত্মতস্বর্গের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে নতুন প্রজন্মকে সত্য ইতিহাস জানতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরানুজ্জামান ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমিটির আহবায়ক, অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক,মো,আবুল কাশেম এবং অন্যান্য বক্তারা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ ছাড়াও বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা অনুষ্ঠান ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
পরে সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ব্যানার নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ডিমলাবাসীর কাছে ১১ ডিসেম্বর কেবল একটি তারিখ নয়; এটি স্বাধীনতার স্বাদ, ত্যাগের স্মৃতি এবং বীরত্বের গৌরবের চিরস্মরণীয় দিন—যা আগামী প্রজন্মকে স্বাধীনতার মূল্য বুঝতে অনুপ্রাণিত করে।
অর্থ-বাণিজ্য: স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১ হাজার ৫০ টাকা
অপরাধ ও দুর্নীতি: সাবেক মন্ত্রী গাজীসহ ৮জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা