image
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

মোরেলগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস আজ

শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা। মোরেলগঞ্জ ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সুন্দরবন সাব সেক্টর মুজিব বাহিনীর প্রধান ডা. মোসলেম উদ্দিনের নেতৃত্বে ১১ জনের একটি দল মোরেলগঞ্জকে এ দিনে প্রথম হানাদার মুক্ত করেন।

এ সময় তার সাথে ছিলেন নীল রতন মিস্ত্রী, এম. কে আজিজ, কচুবুনিয়ার সুলতান আহমেদ, চিংড়াখালীর আ. রশিদ বক্স, শরণখোলার খায়রুল আলম, অমূল্য কুমার রায়, ভাটখালীর আব্দুল খালেক, কাকড়াতলীর চিরানন্দ মন্ডল, জিউধরার আব্দুর রাজ্জাক ও রাজেন মন্ডল। ১২ডিসেম্বর মংলার বদ্ধমারী ক্যাম্প থেকে মোরেলগঞ্জ উপজেলাকে হানাদারমুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়।

১৩ ডিসেম্বর শনিবার তৎকালিন এ অঞ্চলের মুজিব বাহিনীর প্রধান ডা. মোসলেম উদ্দিন বলেন, পরিকল্পনা অনুযারী মুক্তিযোদ্ধারা ১৩ডিসেম্বর মধ্যরাতে মংলা থেকে মোরেলগঞ্জে আসে। রাত ১১টার দিকে উপজেলা সদরের নব্বইরশি টাউন হাইস্কুল মাঠে অবস্থান নেয়। তারা গভীর রাতে বাজারের কবিরাজদের দালানে অবস্থিত রাজাকারদের ক্যাম্পটি দখলে নিতে বাজারের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। প্রথমে বাহিনী প্রধান ডা. মোসলেম উদ্দিন রাজাকার ক্যাম্পে গুলি চালান। পরে বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও চারদিক থেকে একযোগে গুলি শুরু করে।

এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম বাবুল বলেন, ১৪ ডিসেম্বর এই দিনে মোরেলগঞ্জকে পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করা হয়েছিলো। বিজয়ের এ মাসে স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীনতায় সেদিন ঝাপিয়ে পড়েছিলো সাধারণ মানুষের সেই কাঙ্খিত স্বপ্ন আজও বাস্তবায়ন হয়নি। মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় আগামির প্রজন্ম দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এমনটা প্রত্যাশা।

এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মুক্তচেতনার রাজনৈতিকবিদ আব্দুল মজিদ জব্বার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ছিলো দেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবে। সুখ শান্তিতে থাকবে মানুষ। সামাজিকভাবে অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে তাদের স্বপ্ন আজও বাস্তবায়ন হয়নি। সময় এসেছে দেশে একটি সুষ্ঠু পরিবেশের। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের দ্বারাই সাধারণ মানুষের কাঙ্খিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি