image
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

গুয়াগাছিয়ায় ডাকাত সন্দেহ ৩ জন আটক, পেট্রোল বোমা উদ্ধার

শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ)

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়ায় ডাকাত সন্দেহে ৩ জনকে আটকের পর গনধোলাই করে আজ শুক্রবার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন এলাকাবাসী। এ সময় আটকদের কাছ থেকে ২১ রাউন্ড কার্তুজ, ৩টি রামদা, ২০টি ককটেল ও ৬টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাব্বির হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়ইটার দিকে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামে এলাকাবাসী ডাকাত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করে গতকাল শুক্রবার সকালে পুলিশের হাতে তুলে দেয়, আটকদের উপজেলা স্বাস্হ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসার পর পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছ। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আটক ৩ জন হলো নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে আবু হানিফ (৪২), চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার হাঁপানিয়া গ্রামের জসিম বেপারীর ছেলে রাসেল মিয়া (২৫) ও গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের মুজাফফর বেপারীর ছেলে লোকমান হোসেন (৩০)।

তবে আটককৃতদের দাবি তারা ডাকাত নয় প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের মারধর করে জনতার হাতে তুলে দিয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গজারিয়া উপজেলার মূলভুখন্ড থেকে নদী বিচ্ছিন্ন অপরাধ প্রবণ এলাকা গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিনাংশের এলাকায় চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে গ্রাম পাহারার ব্যবস্থা করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধের জন্য পাহারা শুরুর পর রাত আড়াইটার দিকে গ্রামে ১০/১২জন লোকের উপস্থিতি টের পায় পাহারাদার দল। এ সময় তাদের ধাওয়া দিলে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও জনতার হাতে আটক হয় ৩ জন। এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে ২১ রাউন্ড কার্তুজ, ৩ টি রামদা, ২০টি ককটেল ও ৬টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করা হয়। গণধোলাই দিয়ে তাদের আটকে রাখে উত্তেজিত জনতা। পরে শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.নূরে আলম জিকু বলেন, আহত ৩ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। আহতদের মধ্যে লোকমান হোসেন ও আবু হানিফের গুরুতর আহত। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাত-পা ভেঙে গেছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য এক্স-রে করতে দেওয়া হয়েছে। এক্স-রে রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত বলতে পারব।

তবে জনতার হাতে আটক লোকমান নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমরা ডাকাত নই। আমাদের প্রতিপক্ষ নয়ন-পিয়াস গ্রুপের লোকজন গতকাল রাতে আমাদের মারধর ধরে জনতার হাতে তুলে দিয়েছে।

গজারিয়া থানায় অফিসার ইনচার্জ মো. হাসান আলী বলেন, খবর পাওয়া পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জনতার হাতে আটক ৩ জনকে আমরা থানায় নিয়ে এসেছি। তাদের কাছ থেকে কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে । বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গুয়াগাছিয়া এলাকায় পরস্পর বিরোধী দুটি বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড সংঘটিত করে আসছে।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

» বেলতলী বধ্যভূমি দিনে গো-চারণ রাতে মাদকসেবীদের আড্ডা

সম্প্রতি