image
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

পীরগাছায় কালোবাজারিতে বিক্রি হওয়া সার জব্দ

শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, পীরগাছা (রংপুর)

রংপুরের পীরগাছায় রাসায়নিক সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যথাযথ তদারকির অভাবে কালোবাজারে এম.ও.পি সার বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০, ডিএপি ১৪০০, টিএসপি (কানাডা) ১৭০০ টাকা বস্তা, ইউরিয়া বিক্রি হচ্ছে বস্তা প্রতি ২০ হতে ৫০ টাকা বেশী মূল্যে। তীব্র সংকটের সময় সার পাচার হয়ে যাচ্ছে পার্শবর্তী উপজেলায়। তবে সার সংকটের বিষয়টি স্বীকার করতে নারাজ উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষি ভান্ডার খ্যাত আলু মৌসুমে সার নিয়ে হাহাকার শুরু হয়েছে পীরগাছায়। কৃষক পাচ্ছে না চাহিদা মত সার, অথচ পাচার হচ্ছে অন্য উপজেলায়। আলু, কলা, শাক-সবজি ও ধান এই এলাকার প্রধান কৃষি ফসল। এই ফসলগুলো ফলাইতে কৃষকের ব্যাপক রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয়। পীরগাছার কৃষকের উৎপাদিত আলু দেশের চাহিদা পুরন করে হাজার হাজার টন আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানী করা হয়। পীরগাছার উৎপাদিত কলা এবং ধান সারা দেশের চাহিদা পুরন করে।

উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পাওটানা বাজারস্থ আরিফুল ট্রেডার্স এর প্রো. আরিফুল ইসলামের ৩০ হাজার, নাঈমুল এন্টারপ্রাইজ এর প্রো. এমদাদুল হকের সাত হাজার, বড়দরগা বাজারস্থ রোমা ট্রেডার্স, এর প্রো. রফিকুল ইসলামের আট হাজার ও বিসিআইসি ডিলার শেখ মুন্না ট্রেডার্সের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কিছু অসাধু ডিলার কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশী মূল্যে সার বিক্রি করছেন অনুমোদনহীন খুচড়া বিক্রেতাদের কাছে। অপরদিকে তদারকির অভাবে সুবিধামত সময়ে তারা পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলায় রাতের অন্ধকারে সার বিক্রি করছেন। নিজেদের চাহিদামত সার না পেয়ে কৃষক হয়েছে দিশেহারা।

খোজ নিয়ে জানা যায়, বিএস মাধ্যমে ডিলার স্পটে না গেলে অধিকাংশ কৃষক সরকারি মূল্যে সারও পাচ্ছেন না এবং সার ক্রয়ের রশিদ পাচ্ছেন না। যদি কোন কৃষক রশিদ চেয়ে বসেন পরবর্তীতে ওই কৃষককে কৌশলে সার দেয়া হয় না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাওলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বলেন, আমাদের মুলদলসহ বিভিন্ন অংগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৪/১৫ জন নেতা ডিলার এবং বিএসদের উপর চাপ সৃষ্টি করে স্লিপ নিয়ে বেশী দামে সার বিক্রি করায় প্রকৃত কৃষক বিপদে পড়েছে।

স্থানীয়দের দাবী বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয় বহনকারী কিছু বখাটে ও খুচড়া সার বিক্রেতারা এই সংকটের জন্য মুল দায়ী। এরই মধ্যে চৌধুরাণী বাজারস্থ শেখ মুন্না ট্রেডার্স ৪২ বস্তা ডিএপি, ১০ বস্তা ইউরিয়া ও ২০ বস্তা পটাশ পাচারের সময় স্থানীয় কৃষকরা আটক করে কৃষি বিভাগকে সংবাদ দেয় বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম।

উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, কৃষি জমি অনুযায়ী পর্যাপ্ত সার আছে, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি কৃষকদের মাঝে সার পৌছে দেওয়ার জন্য, কিন্তু কৃষক প্রয়োজনের তুলুনায় বেশী প্রয়োগ করায় অনেকেই মনে করছেন সংকট। তবে কিছু অসাধু মানুষ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য চেষ্টা করবে, আর আমার উপর অর্পিত রাস্ট্রীয় দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করব।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

» বেলতলী বধ্যভূমি দিনে গো-চারণ রাতে মাদকসেবীদের আড্ডা

সম্প্রতি