পটুয়াখালীর দুমকিতে সারা মাঠ জুড়ে সোনালী ধানের আলোর ঝলকানিতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অধিকাংশ ক্ষেতের ধান পেকে গেছে। পাকা ধানের উপর দিয়ে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় দোলা দিয়ে কৃষকদের যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে ওরে আয় তোরা আয় আমাকে বরন করে ঘরে তোলার জন্য।
কৃষকরাও ইতিমধ্যে মহা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সোনালী আমন ধান ঘরে তুলতে। কৃষকদের ছুটাছুটি করতে দেখা যায় শ্রমিকদের খোঁজে। কৃষানিরাও ধান সেদ্ধ, শুকানো ও সংরক্ষনের কাজে দিন রাত অবিরাম কাজ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার শ্রীরামপুর, আংগারিয়া, মুরাদিয়া, লেবুখালী ও পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে মোট ৬ হাজার ৬০১ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সরেজমিনে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। অপেক্ষাকৃত উচু জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ করায় কোন কোন জমির ধান সংগ্রহ শেষ হয়ে গেছে। দৈনিক সংবাদ অনুসন্ধানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব মাঠেই আমন ধান পেঁকে গেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমিতে পরিনত হয়েছে পুরো মাঠ জুড়ে। শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক মো. ইলিয়াস খান বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সময়মতো আমন চারা রোপণ করায় এবং কোনো রিপু না হওয়ায় আমন ধান বেশ ভালো হয়েছে। আশাকরি বিগত বছরের তুলনায় এবছর ভালো ফলন পাবো।
মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কৃষক আবুল কালাম জানান, আমাদের এলাকায় প্রতিটি মাঠেই এবছর আমনের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকদের মুখে মুখে ভালো ফলনের কথা শোনা যাচ্ছে। আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।এব্যাপারে দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরান হোসেন বলেন, কৃষকদের আমন চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ ও সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। অত্র এলাকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। নদী বিধৌত পলি বেষ্টিত জমি আমন ধান চাষের জন্য উপযোগী। ইতিমধ্যে আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের ধান ক্ষেতের নানাবিধ সমস্যার সমাধানের জন্য পরামর্শ দিয়ে আসছি। পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রেহাই পেতে আলোক ফাঁদ ও পারসিং পদ্ধতির পরামর্শ দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, সব মিলিয়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
খেলা: ফুটবল লীগে বড় জয় আবাহনীর