গোবিন্দগঞ্জে আবাদযোগ্য সরকারি খাসজমি ও তৎসংলগ্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ধ্বংস করে অবাধে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটছে উপজেলার তালুক কানুপুর ইউনিয়নের তাজপুর-ফুলবাড়ী মৌজার কাটাখালি ব্রিজের পশ্চিম পাশে, কালুক কানুপুর ও ফুলবাড়ি যৌথ মৌজার নদীসংলগ্ন প্রায় এক থেকে দুই হাজার গজ এলাকাজুড়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে একটি কুচক্রী মহল সকাল ছয়টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ড্রেজার মেশিন, ভেকু ও বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চালিয়ে আসছে। এতে আবাদযোগ্য জমি, নদী সংলগ্ন বাঁধ, কাটাখালি ব্রিজ এমনকি বিশ্বরোড পর্যন্ত ঝুঁকির মুখে পড়েছে। বালু উত্তোলনের ফলে এলাকায় ভূমিক্ষয়, ভাঙন এবং বিভিন্ন অবকাঠামোর স্থায়িত্ব মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়ছে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। এর আগে এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দাখিল করলে কিছুদিনের জন্য বালু উত্তোলন বন্ধ হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে ‘অদৃশ্য প্রভাবশালী শক্তির জোরে একই স্থানে আবারও বালু দস্যুরা সক্রিয় হয়ে ওঠে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গেলে স্থানীয়দের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। পুনরায় অভিযোগ দাখিল করে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে সরেজমিন তদন্ত করে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সংশ্লিষ্টদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগটি আমার হাতে পৌঁছেছে। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান সার্বক্ষণিক চলমান রয়েছে এবং তা আরও জোরদার করা হবে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি।
খেলা: ফুটবল লীগে বড় জয় আবাহনীর