দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙালির মহান বিজয় দিবস। ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগে পরাধীনতা থেকে মুক্ত হয়ে আমরা পেয়েছি আমাদের বাংলাদেশ আর লাল সবুজের পতাকা।
লাল সবুজের পতাকার সাথে জড়িয়ে আছে বাঙালির আত্মকথা। বাঙালির আত্মত্যাগ আর প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত মহান বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর) কে সামনে রেখে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ফেরি করে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা বিক্রি করছেন ফরিদপুরের সুমন, মাদারীপুরের আমীর হোসেনসহ আরও কয়েকজন পতাকা বিক্রেতা।
দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই প্রতি বছর বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রির মৌসুমি পেশা হিসেবে তারা বেছে নেন পতাকা বিক্রি। এবারও বিজয় দিবস উপলক্ষে ভ্রাম্যমাণ পতাকা বিক্রেতারা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বাঁশের সঙ্গে জাতীয় পতাকা বেঁধে বিক্রি করছেন। শুধু পতাকা নয়, লাল-সবুজের মাথার কাগজের ক্যাপ, রাবার সম্বলিত স্টিকার , হাতের ব্যাজ, বুকের ব্যাজ বিক্রি করছেন তারা।
গতকাল শুক্রবার বিকালে বোয়ালখালী পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হেঁটে হেঁটে পতাকা বিক্রি করতে দেখা যায় তাদেরকে।
পতাকা বিক্রেতা সুমন বলেন, তিনি চট্টগ্রামের জাতীয় স্টেডিয়ামে একটি ইলেকট্রনিকস মার্কেটে এসির দোকানে চাকুরী করেন। বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে মনের তাগিদে পতাকা বিক্রি করেন। সুমন বলেন, আমার কাছে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের পতাকা আছে। দৈনিক ১২শ থেকে ১৫ শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এতে তার ৫-৬ শ টাকা লাভ থাকে।
বিজয়ের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে পথে পথে পতাকা ফেরি করে বিক্রি করতে অনেক ভালো লাগে বলে জানান তিনি। পতাকা ফেরিওয়ালা আমীর হোসেন বলেন, দেশকে ভালোবাসি তাই প্রতি বছর বিজয় দিবস আসলে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা ফেরি করে বিভিন্ন এলাকায় অলিতে-গলিতে হেঁটে হেঁটে বিক্রি করি। এতে আর্থীকভাবেও লাভবান হচ্ছি এবং আমার সংসার ও চলছে। অন্য সময়ে দেশের বাড়িতে কৃষি কাজ করেন বলে জানান তিনি।
পতাকা কিনতে আসা এক কলেজ শিক্ষার্থী পূর্ণিতা বড়ুয়া বলেন, বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন দিবসে আমাদের বাড়িতে পতাকা টাঙিয়ে দিবসগুলো পালন করা হয়। একজন শিক্ষার্থী ও দেশের নাগরিক হিসেবে বিজয় দিবস স্বাধীনতা দিবস ও অন্যান্য দিবসে পতাকা উড়ানো আমি সবার দায়িত্ব বলে মনে করি। পাঁচ বা ছয় মাস একটা পতাকা ব্যবহার করলে তা বিবর্ণ হয়ে ছিড়ে যায়, তাই আজ নতুন পতাকা নিচ্ছি।
৮০ টাকা দিয়ে একটি পতাকা কিনেন চরখিদিরপুর এলাকার প্রবীণ কৃষক মো. মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ৩০ লক্ষ শহিদের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এ লাল সবুজের পতাকা। বিজয়ের মাসে প্রতিটি বাঙালির ঘরে ঘরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পতাকা টাঙানো উচিত। আমাদের সবাইকে নিয়ম মেনে পতাকা উড়ানো এবং পতাকার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা প্রয়োজন।
খেলা: ফুটবল লীগে বড় জয় আবাহনীর