পলাশে নয়ন চন্দ্র মজুমদার নামে সেই বস্তাবন্দী যুবকের হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পলাশ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিহত নয়নের প্রেমিকা ফারজানা আক্তার মিথিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মিথিলা ঘোড়াশাল পৌর এলাকার মৃত সোহেল মিয়ার মেয়ে। এ হত্যাকান্ডে জড়িত মিথিলার স্বামী ফয়সাল পলাতক রয়েছেন। তাকেও গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানায় পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মিথিলা নরসিংদী বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানায় পুলিশ। নিহত নয়ন চন্দ্র মজুমদার চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপ থানার উত্তর মগধরা গ্রামের দিলাল চন্দ্র মজুমদারের ছেলে।
সে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বাজারের একটি ভাড়া বাসায় থেকে পার্শ্ববর্তী ঘাগড়া গ্রামের প্রাণ কোম্পানির সামনের সড়কের পাশের নিজের সেলুনে নাপিতের কাজ করতেন।
পলাশ থানা পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার সকালে উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের কাটাবের সড়কের পাশ থেকে নয়নের মরদেহ উদ্ধার করে পলাশ থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মরদেহের চোখে ও মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরবর্তীতে নরসিংদী পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সহায়তায় নিহতের পরিচয় সনাক্ত হলে নিহতের মা ঝর্না রানী মজুমদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনা নামা আসামি করে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তদন্ত করে শুক্রবার রাতেই ঘোড়াশাল থেকে ফারজানা আক্তার মিথিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, বিয়ের আগে থেকেই নয়নের সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল মিথিলার। পরে ৯ ডিসেম্বর নয়নকে ফোন দিয়ে বাড়িতে ঢেকে নিয়ে যায় মিথিলা। পরবর্তীতে মিথিলা ও তার স্বামী ফয়সাল পরিকল্পিতভাবে নয়নকে রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে।
হত্যার পর প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে নয়নের লাশ দুইদিন খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে ঘটনার দুইদিন পর লাশের সাথে ঘরের বিভিন্ন মালামাল বস্তায় ভরে রাতের কোন এক সময় অটোতে যোগে কৌশল নিহতের লাশটি কাটাবের সড়কের পাশে ফেলে যায় তারা। পলাশ থানার (ওসি) শাহেদ আল মামুন জানান, পরকীয়ার জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিহত নয়নের প্রেমিকা ফারজানা আক্তার মিথিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ হত্যায় জড়িত মিথিলার স্বামী ফয়সাল ও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারকৃত মিথিলা নরসিংদী বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।