বরুড়ায় খাস জমিতে গোয়াল ঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে কৃষি জমির মাঠে যাতায়াতের পথ প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে মাওলানা ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ব্যপারে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন ফল মিলছে না বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের ঝলম বাজারের উত্তর পূর্বাংশে ১৫১নং ঝলম মৌজার ৩নং সিট এর ১৩২৬ নং দাগে ২২ শতাংশ সরকারি খাস জমি রয়েছে। উক্ত খাস জমিটি ঝলম বাজার সংলগ্ন সাইলচোঁ নামক এলাকা থেকে গাছতল বাড়ি নামক এলাকার সাথে সংযুক্ত। ওই খাস জমিটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কৃষি জমিতে যাতায়াতের একমাত্র পথ হিসেবে দীর্ঘকাল যাবৎ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এমতাবস্থায় কৃষকদের স্বার্থ উপেক্ষা করে ওই এলাকার বাসিন্দা মাওলামা মো. ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে তিনি খাস জমিটি (যাতায়াতের পথ) প্রায় ৮শতাংশ অবৈধ ভাবে দখল করে ঘোয়াল ঘর এবং জান্নাতুল ফেরদৌস হিফজুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসা নামে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে প্রায় ৭ বছর যাবৎ বহাল তবিয়তে রয়েছেন। ভুক্তভোগী কৃষকদের মধ্যে জয়নাল আবেদীন, মোস্তফা, মো. মনিরুজ্জামান, তাজির, আলী আজ্জম, জাহিদুল ইসলাম সহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, এই সরকারি খাস জমিটি ঝলম বাজার সংলগ্ন সাইলচোঁ এবং গাছতল বাড়ির কৃষি মাঠের একমাত্র পথ। এই পথটিকে অবৈধভাবে গোয়াল ঘর এবং মাদ্রাসা নির্মাণ করে মাওলানা মো. ইকবাল হোসেন যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন।
যার ফলে আমাদেরকে মাঠে যেতে অন্য পথ ঘুরে আসতে হয়। এতে করে চাষাবাদসহ ফসল উৎপাদন, পরিবহনে সময়ের অপচয় এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে। এ ব্যপারে প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি উপজেলা সহকারী কমিশানার (ভূমি)র কার্যালয়ে লিখিত ভাবে অবহিত করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। এ ব্যপারে জানতে চাইলে ঝলম ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, মাওলানা মো. ইকবাল হোসেনকে সরকারি খাস জমিটি থেকে তার স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য একাধিকবার তাগিদ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি তার কথা শুনেন নাই। পরবর্তীতে বিষয়টি তিনি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহসান হাফিজ বলেন, মাওলানা মো. ইকবাল হোসেনকে যাতায়াতের পথ খাস জমি থেকে তার অবৈধ স্থাপনা দ্রুত সময়ের মধ্যে সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। মাওলানা মো. ইকবাল হোসেন জানান, এখানে কখনো রাস্তা ছিলনা। আমার ঘরের পেছনে পানি ও পুকুর রয়েছে। আমিও চাই রাস্তা হউক। প্রশাসন রাস্তার ব্যবস্থা করলে আমি রাস্তা খুলে দিব এবং সহযোগিতা করব।