কুমিল্লার দেবিদ্বারে গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এক মুয়াজ্জিন ও এক বিধবার দুটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সৃষ্ট এ আগুনে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে পরিবার দুটি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মোল্লাবাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সামসুল হকের বিধবা কন্যা মমতাজের বসতঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে না থাকায় ঘরটি তালাবদ্ধ ছিল। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের ঘরে, যা মসজিদের মুয়াজ্জিন আবুল কালামের বসতঘর।
রাতের নীরবতা ভেঙে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের মানুষ ছুটে এলেও আগুনের তীব্রতায় কোনো আসবাবপত্র বা মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অল্প সময়ের মধ্যেই দুটি ঘর দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে।
ক্ষতিগ্রস্ত মুয়াজ্জিন আবুল কালাম জানান, মেয়ের সিজারিয়ান অপারেশনের কারণে সেদিন রাতে পরিবারের সবাই দেবিদ্বার উপজেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছিলেন। আগুনের খবর পেয়ে বাড়িতে এসে তিনি দেখেন, ঘর, আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ঘরে রাখা এক লাখ টাকার বেশি নগদ অর্থসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম ফকির জানান, প্রথমে চিৎকার শুনে তারা চুরির ঘটনা ভেবেছিলেন। পরে আগুন দেখতে পেয়ে সবাই মিলে নেভানোর চেষ্টা করা হলেও নির্জন গ্রাম হওয়ায় পর্যাপ্ত লোকবল ও পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হলেও সময় মতো তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. সালাহউদ্দিন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, লোকজন কম থাকায় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দুটিকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।