image

হারিয়ে যাচ্ছে কৃষি কাজে সনাতন পদ্ধতি

রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, মাহনগঞ্জ (নেত্রকোনা)

কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশ। দেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবি। বাংলাদেশ একটি নাম কৃষিই যার প্রাণ, কৃষিই যার ধ্যান। কৃষি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যেমন লাঙ্গল, জোয়াল, মই,বিন্দা, কাঁচি, পানি সেচের দোন, দড়ি, কোদাল ইত্যাদি। যেগুলো ছিল কৃষি কাজের আদিম যণ্ত্রপাতি। কৃষি কাজে হালচাষ, ধান কাটা, ধান মাড়াই সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হতো এসব হস্ত নির্মিত উপকরণ। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন সব কিছুই যণ্ত্র নির্ভর হয়ে পড়েছে। কৃষি ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় হয়নি। হালচাষ করতে এখন আর গরু, লাঙ্গল, জোয়ালের দরকার হয় না। এর বদলে চলে এসেছে ট্রাক্টর, কাঁচি দিয়ে দল বেঁধে ধান কাটতে হচ্ছে না। ধান কাটার মেশিন হারভেষ্টার দিয়ে একজনই কেটে ফেলছেন ধান। মাড়াই করতে লাগছে না গরু। মাড়াই যণ্ত্রে ধান মাড়াই হচ্ছে। ধান ক্ষেতে পানি পানি দেয়ার জন্য ব্যবহৃত হতো দোন। তাও লাগছে না। মাঠে বসে গেছে স্যালো মেশিন। অথচ এমন এক সময় ছিল যখন কাকডাকা ভোর থেকে কৃষক লাঙ্গল জোয়াল ও গরু নিয়ে ক্ষেতে চাষ দিতেন। গ্রামে বড় বড় গৃহস্থ বাড়িতে কয়েকটি হালের গরু ও কৃষি যণ্ত্রপাতি থাকতো। ধান কাটা হতো দল বেঁধে। হাওরে বোরো মৌসুমে বিস্তীর্ণ মাঠের ফসল কাটতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধান কাটার কামলা, ভাগালু, ব্যাপারীরা আসতো। হাওর থেকে ধান আনার কাজে ব্যবহৃত হতো গরুর গাড়ি, হয়ড়া। হাওরে অনেক গৃহস্থের গরুর গাড়ি ছিল। গরুর গাড়ির স্হলে স্হান করে নিয়েছে যন্ত্রচালিত হ্যান্ডট্রলি। ফলে দিন দিন কৃষি কাজে হারিয়ে যাচ্ছে সনাতন যণ্তপাতি। কৃষক মঞ্জুরুল হক বলেন, নিজে গরু দিয়ে জমি চাষ করেছি। কাঁচি দিয়ে ধান কেটেছি। এনামুল হক বাচ্চু বলেন, এক একজন গৃহস্হের তিন আল চার আলের গরু ও লাঙ্গল জোয়াল ছিল। এখন অনেকেরই গরুর আল নেই। যান্ত্রিকতার যুগে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে চিরচেনা কৃষি কাজের জন্য ব্যবহৃত আদি কৃষি যণ্ত্রপাতি।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

» যশোরে বিধবা বোনকে কুপ্রস্তাবের প্রতিবাদ করায় ভাই খুন, দু’জন আটক

সম্প্রতি