image
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

দুর্যোগ ঝুঁকিতে হাতিয়ার ৬ লাখ মানুষ

সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, নোয়াখালী

বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলায় বসবাসকারী প্রায় ৬ লাখ মানুষ ঝড়, ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো সহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঝুঁকিতে থাকে বছরের ৯ মাস। এ উপজেলায় প্রয়োজন ৪৯২ টি সাইক্লোন সেন্টারের এর মধ্যে রয়েছে মাত্র ৭৬ টি। এর মধ্যে পরিত্যাক্ত রয়েছে ২৭ টি আর অবৈধ দখলে রয়েছে ১৬ টি। দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী হাতিয়া দ্বীপ উপজেলায় জনসংখ্যা অনুপাতে জনসংখ্যা অনুপাতে প্রয়োজনীয় সাইক্লোন সেন্টার না থাকায় প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ। যার ফলে ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, সুনামি সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে নিরাপদ আশ্রয় পাবেন না প্রায় ৪ লাখ মানুষ।

এ ছাড়া সাইক্লোন সেন্টার কাম স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার দ্বিতল ভবন রয়েছে আরো শতাধিক ভবন। প্রতিটি ভবনে গড়ে সর্বোচ্ছ ১০০০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারালেও এখানে আরও সাড়ে চারশোর মতো সাইক্লোন সেন্টার নির্মান করা প্রয়োজন বলে দূর্যোগ বিশেষজ্ঞ মনে করেন বলে জানিয়েছেন জেলা এান ও দূর্যোগ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান। তিনি জানান, যে ৭৬ টি রয়েছে তার মধ্যে ২ টি ব্যাবহ্রত হচ্ছে বাণিজ্যিক ভাবে, ২৭ টি রয়েছে পরিত্যাক্ত,আর অবৈধ দখলদারত্বের কবলে রয়েছে ১৬ টি সাইক্লোন সেন্টার। তাছাড়া সাবেক ইউএনও আবুল হাসেমকে ম্যানেজ করে নিঝুম দ্বীপের বন্দর টিলার সিডি এসপি কতৃক নির্মিত একটি আশ্রয় কেন্দ্র দখলে নিয়ে পর্যটকদের নিকট আবাসিক হোটেল হিসেবে ভাড়া দিচ্ছে।

বাণিজ্যিক হিসেবে অপর ব্যাবহ্রত সাইক্লোন সেন্টার টি হচ্ছে সৈয়দিয়ায় একটি এনজিওর অফিস কাম রেসিডেন্স। অষ্টেলিয়ার একটি দাতা সংস্থা কর্তক নির্মিত এ সাইক্লোন সেন্টার টি দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা ১৯৯৬ সাল থেকে এ সাইক্লোন সেন্টার টি নিজেদের নিজস্ব সম্পওি দাবী করে আসছে। এবং তারা বিভ সময়, সিডিএসপি, ব্রাক,স্বনির্ভর বাংলাদেশ, কেয়ার বাংলাদেশ, ইউএন এডিপি সহ বিভিন্ন এনজিওর কাছে ভাড়া দিয়ে গত ৩১ বছরে কোটি টাকার মতো আয় করলে ও স্থানীয় প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করেছে অথবা যোগ সাজসে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

এ ব্যাপারে হাতিয়ার বর্তমান প্রশাসনকে বার বার জিজ্ঞাসা করলেও তারা মুখ খুলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে স্থানীয় রেডক্রিসেন্ট কর্মকর্তা এ প্রতিনিধিকে বলেন, জরুরি ভিওিতে হাতিয়ায় আরো সাইক্লোন সেন্টার তৈরি করতে হবে এবং হাতিয়ায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ভবন গুলিকে অন্তত দ্বিতল ভবনে রুপান্তরিত করতে হবে। তা হলে দূর্যোগের সময় সেগুলিকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করে মানুষকে আশ্রয় দেয়া যাবে। এবং গবাদি পশুর জন্য অন্তত সতাধিক মাটির কিল্লা তৈরি করতে হবে তাহলে গোসম্দ রক্ষা করা যাবে। হাতিয়ার ইউএনও আলাউদ্দিন জানান, হাতিয়ার সবচেয়ে ঝুকিপূর্ন হচ্ছে নিঝুম দ্বীপ ও হরনী, চান্দী ইউনিয়ন। এ তিনটি ইউনিয়নে কোন বেড়িবাঁধ নেই যার ফলে সামান্য বন্যা বা ঝড় হলে এখানকার মানুষ সব চেয়ে বেশী ঝুঁকিতে পড়বে। এবং জলোচ্ছ্বাস হলে হাজার হাজার মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নিঝুম দ্বীপে ৮/১০ টি এবং হরিন চানন্দিতে ২০ টি সাইক্লোন সেন্টার ও এ উপদ্বীপ গুলীর বেড়ি বাঁধ এ এলাকার মানুষের প্রানের দাবি। বেড়ি বাঁধের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডোর নির্বাহী অফিসার অফদা রেকর্ড বলেন, গত ১০ বছর বেড়ি বাঁধের জন্য অন্তত ২৫ বার ষ্টিমেট পাঠানো হয়েছে। বার বার উর্ধতন কর্মক্রতারা সাইট পরিদর্শন ও করেছে কিন্তু এখানকার মেঘনা নদী বার বার রুপ বদলায়। তাই আমাদের ষ্টিমেট পালটাতে হয়। তাছাড়া মন্ত্রনালয়ে ও রয়েছে লাল পিতার দৌরাত্ম।

এ ব্যাপারে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমি মাএ কয়েক দিন আগে যোগদান করেছি খোঁজ খবর নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য কর্তপক্ষকে অবিহিত করব এবং অবৈধ দখলের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হবে।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি