image
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার

সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনার পর দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (৫৮ বিজিবি)। হামলার সঙ্গে জড়িত কোনো সন্ত্রাসী, সহযোগী বা সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে সীমান্ত ব্যবহার করে দেশত্যাগ করতে না পারে, সে লক্ষ্যে সীমান্তজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে কার্যত এক নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের সঙ্গে ঝিনাইদহ জেলার প্রায় ৭০ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে মহেশপুর উপজেলার প্রায় ১০.৮ কিলোমিটার কাঁটাতারবিহীন ও নদীবেষ্টিত এলাকা—ইছামতি ও কোদালা নদী চিহ্নিত করে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিশেষ নজরদারি আরোপ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সীমান্তের প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকায় ১৩টি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন, ডবল ও একাধিক টহল ব্যবস্থা চালু, পেট্রোল ডিউটি দ্বিগুণকরণ এবং দিন-রাতব্যাপী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নিবিড় তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রফিকুল আলম, পিএসসি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্ত নিরাপত্তায় বিজিবি জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। অপরাধী পলায়ন রোধের পাশাপাশি অবৈধ পুশ ইন, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছি এবং কোনো অবস্থাতেই নিরাপত্তায় শৈথিল্য দেখানো হবে না। তিনি আরও বলেন, সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষের সহযোগিতা বিজিবির জন্য বড় শক্তি; সন্দেহজনক ব্যক্তি বা অস্বাভাবিক তৎপরতা চোখে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ বিজিবি ক্যাম্পে জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, হামলার তদন্ত চলমান থাকলেও সম্ভাব্য সব ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে সীমান্তে এই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাতে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনো ফাঁকফোকর না থাকে।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি