সিরাজগঞ্জের বিস্তৃর্ণ এলাকার মাঠের পর মাঠ এখন সরিষা ফুলের হলুদ চাদরে ঢাকা পড়ছে। যতদূর চোখ যায় দেখা যায় চারিদিকে যেন হলুদের আগুন লেগেছে। এলোমেলো বাতাস এই হলুদ চাদরে দোল দেয় বার বার। এখানকার গ্রাম জনপদের মাঠের চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক এমন সৌন্দর্য দেখতে ভীড় করছে নানা বয়সি মানুষ। দেশে সরিষা উৎপাদনের শীর্ষ স্থান দখল করে আছে সিরাজগঞ্জ।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবছর জেলায় ৯০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। জেলর উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর ও তাড়াশে দেশের সবচেয়ে বেশি সরিষা আবাদ হয়েছে। যা গতবছর ছিল ৮৭ হাজার ১১৫ হেক্টর। জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উল্লাপাড়ায় এবার সরিষা আবাদ হয়েছে ২৪ হাজার ৬০৫ হেক্টর এবং তাড়াশে আবাদ হয়েছে ১০ হাজার ৪৭০ হেক্টর। জেলায় আবাদকৃত সরিষার মধ্যে বারি ১৪, ১৭, ১৮ বিনা ৪, ৯ এবং টরি ৭ জাতের সরিষা আবাদ করা হয়েছে।
সয়াবিন তেলের ঘাটতি পূরণে দেশে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বাড়ানোর রোডম্যাপ শুরু হয়েছে। উৎপাদনের ধারা অব্যাহত থাকলে ভোজ্যতেলের চাহিদা অনেকাংশই দেশেই মেটানো সম্ভব বলে মনে করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শর্মিষ্ঠা সেন গুপ্তা বলেন, এ বছর এই উপজেলায় ৩০ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষকদের সরিষা চাষের জন্য প্রনোদনা হিসাবে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে কৃষি বিভাগ থেকে। সরিষার ফলন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের নানা পরামশৃ দেয়া হছ্ছে কৃষকদের।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, এবছর এই উপজেলায় ২৪ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে বেশি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ কে এম মঞ্জুরে মওলা বলেন, ভোজ্য তেলের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে জন্য আমরা সরিষার চাষাবাদ বৃদ্ধি করতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছি। এবছর জেলায় ৯০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। আমরা কৃষকদের সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে সার, বীজ প্রণদনা প্রদান করেছি।
অর্থ-বাণিজ্য: মোবাইল আমদানিতেও কর ‘ছাড় দিতে রাজি’ এনবিআর
অপরাধ ও দুর্নীতি: জয়পুরহাটে নভেম্বর মাসে ১,৪৩৩ অভিযানে ১১ লাখ টাকার পণ্য জব্দ
অর্থ-বাণিজ্য: ফের পতন শেয়ারবাজারে, কমেছে লেনদেনও