দীর্ঘ তিন মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি আবারও শুরু হয়েছে। তিনটি ট্রাকে মোট ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে।
সোমবার, (১৫ ডিসেম্বর ২০২৫) বেলা ২টার দিকে সাতক্ষীরার মেসার্স এইচ কে এন্টারপ্রাইজ ও যশোরের মেসার্স সাবাহ এন্টারপ্রাইজের দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পেঁয়াজের চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ছাড়করণ প্রতিষ্ঠান রয়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম রয়েল। তিনি জানান, আপাতত এই চালানে তিনটি ট্রাকে মোট ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে মাত্র ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।
এদিকে আমদানির খবরে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে পারে বলে আশা করছেন সাধারণ ক্রেতারা।
সরেজমিনে সোমবার, সকালে বেনাপোল কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ১০৫ টাকা এবং দেশি শুকনো মানের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানির খবরে মোকামে দাম কমে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে তা অল্প পরিসরে।
প্রতিদিন ২০০ জন আমদানিকারক আইপি পাবেন এবং একজন আমদানিকারক ৩০ থেকে ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছে অনুরোধ পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) উন্মুক্ত করে দেয়া হোক। তাহলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) শামীম হোসেন বলেন, আমদানিকৃত পেঁয়াজ যাতে ব্যবসায়ীরা দ্রুত খালাস নিতে পারেন, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।