image

তিতাসে নতুন কূপ: দৈনিক উঠবে ‘১৫ মিলিয়ন ঘনফুট’ গ্যাস

সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডে নতুন একটি কূপ খনন কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। কূপটির খনন কাজ করছে একটি চীনা প্রতিষ্ঠান। খনন শেষ করতে সময় লাগবে প্রায় দুই মাস। কাজ শেষ হলে প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার,(১৫ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুরে সদর উপজেলার সুহিলপুরে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকেশন ‘সি’তে নতুন ২৮ নম্বর কূপের খনন কাজ উদ্বোধন করেন পেট্রোবাংলার পরিচালক প্রকৌশলী মো. শোয়েব।

১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদকে তিনি বলেন, ‘এটা প্রাথমিক ধারণা। আশা করি এর চেয়ে বেশি গ্যাস পাওয়া যাবে।’ তিনি বলেন, এরই মধ্যে বিজিএফসিএল পরিচালিত গ্যাস ফিল্ডগুলোর উৎপাদন বেড়েছে। নতুন কূপ খনন এবং ওয়ার্কওভারে নেয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের জ্বালানি সংকট অনেকটাই কেটে যাবে।

প্রকৌশলী মো. শোয়েব আরও বলেন, এটি ছাড়াও তিতাসের ৩১ এবং বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডের ১১ নম্বর গভীর কূপ খনন প্রকল্পও হাতে নেয়া হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন, কোম্পানি সচিব মোজাহার আলী, তিতাস ও মেঘনা ফিল্ডে চারটি কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলেন, ২০১২ সালে গ্যাসের সন্ধানে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ‘সি’ লোকেশনে জরিপ চালানো হয়। এরপর ২০২০ সালে জরিপের প্রতিবেদন মূল্যায়ন করে তিতাস গ্যাস ফিল্ডে নতুন তিনটি কূপ খননের পরিকল্পনা নেয় বিজিএফসিএল। এ প্রকল্পের আওতায় গাজীপুরে অবস্থিত কামতা গ্যাস ফিল্ডে একটি কূপ খনন করা হবে। তিতাস ও কামতা ফিল্ডে চারটি কূপ খননে ব্যয় হবে সাড়ে ১২০০ কোটি টাকা। কূপগুলোর খনন শেষে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি