image

দশমিনায় মুগডালের ব্যাপক আবাদ কৃষকদের বাড়তি লাভের স্বপ্ন

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকরা চলতি মৌসুমে মুগডালের ব্যাপক আবাদ করছে। উপজেলা সদর ছাড়াও প্রায় অর্ধ শতাধিক চরাঞ্চলে প্রান্তিক কৃষকরা মুগডালের ব্যাপক চাষ শুরু করেছে। ফলে কৃষকের মনে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এবং চরাঞ্চলের আবাদি ও অনাবাদি জমিতে কৃষকরা বাড়তি লাভের আশায় ব্যাপকভাবে মুগডালের চাষ করছে। ফলে উপজেলায় মুগডালের আবাদে ভাল ফলন পেলে কৃষি বিপ্লব ঘটতে পারে।

দশমিনা উপজেলার মাটি নদ-নদী দ্বারা বেষ্টিত থাকায় রবি ফসল চাষাবাদের জন্য বেশ উপযোগী। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে অসংখ্য খাল ও নদী বয়ে গেছে। এই অঞ্চলে নদী বিধৌত পলিমাটি জমিকে উর্বর করছে। ফলে অত্র অঞ্চলে রবি শস্যসহ অন্যান্য ফসলের ফলন ভাল হয়। মাঠের পর মাঠ ছেয়ে গেছে মুগডালের আবাদ। ফসলের বাম্পার ফলন ও ন্যায্যমূল্য পাবার আশায় কৃষকদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ন ফসলি জমিসহ চরাঞ্চলে চলতি মৌসুমে মুগডালের ব্যাপক আবাদ করা হয়। দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠে মুগডাল আবাদ করে কৃষকরা বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে উপজেলায় মুগডালের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশা করছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, এই বছর অত্র উপজেলায় ১১০০ হেক্টর জমিতে মুগডালের আবাদ করা হয়। গত বছর থেকে ৩০০ হেক্টর বেশি জমিতে মুগডালের চাষ করা হয়। উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদেরকে বীজ, সার, কিটনাশক দিয়ে সহায়তা দেয়া হয়। ডালের চাহিদা ও দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা মুগডালের আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। চাহিদা ও লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা অধিক পরিমান জমিতে মুগডাল আবাদ করেছে। এই ডাল চাষ করেই অনেক কৃষক বাড়তি লাভের স্বপ্ন দেখছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ মুগডাল চাষে কৃষকদেরকে চাষাবাদে উৎসাহ করতে প্রতি বছর প্রনোদনা দিয়েছে। কৃষকদেরকে বিনামূল্যে বীজসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য দেয়া হয়। উপজেলা কৃষি বিভাগ সর্বদা সার্বিক পরামর্শ প্রদান করায় সরিষার চাষ ভালভাবে করতে পারছি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে মুগডালের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারে চাহিদা ভাল থাকায় দাম পাওয়া যাবে বলে কৃষকরা মনে করছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র থেকে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার কৃষকরা লোকসান কমাতে ও অধিক লাভের আশায় মুগডাল চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এই ডাল আবাদ করলে মাত্র দুই মাসের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মুগডালের ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকরা জানায়, এই ডাল আবাদ করার পর একটু পরিচর্যা করলেই ভাল ফলন পাওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.জাফর আহমেদ দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধিকে জানান, দেশে ডালের চাহিদার কথা বিবেচনা করেই এই বছর উপজেলায় অধিক পরিমান জমিতে মুগডালের আবাদ করা হয়। দশমিনা উপজেলাকে কৃষি বান্ধব উপজেলা হিসাবে পরিচিত করতে কৃষক পর্যায়ে দপ্তরের সকল কর্মকর্তারা নিরলস ভাবে কাজ করছে। চলতি মৌসুমে মুগডালের লক্ষ্যমাত্রার চাইতে অধিক পরিমান জমিতে মুগডাল আবাদ করায় বাম্পার ফলন হবে। জমিতে মুগডালে তরতাজা গাছ দেখে কৃষকরা দারুন খুশি।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

» ডিমলায় অবৈধ পাথর পরিবহনকালে ট্রাকসহ চালক-হেলপার আটক

সম্প্রতি