ডিমলায় অবৈধ পাথর পরিবহনকালে ট্রাকসহ চালক-হেলপার আটক

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, ডিমলা (নীলফামার)

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত পাথর বহনের সময় ১৮ চাকার একটি ট্রাকসহ চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে ডিমলা থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবসের ভোরে।

পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ডিমলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তেলীর বাজার এলাকায় তিস্তা নদীর তলদেশ থেকে লেহার যন্ত্র বসিয়ে শতাধিক নৌকার মাধ্যমে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছিল। এসব পাথর বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য বড় ট্রাকে পরিবহন করা হতো।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিমলা থানার এস আই পঙ্কজ কুমার বর্মনের নেতৃত্বে পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ঘোড়ামারা রোডের কালীবাড়ি নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে ঢাকা মেট্রো-ঢ-৮৪০৪৭০ নম্বরের ১৮ চাকার একটি পাথর বোঝাই ট্রাক আটক করে। এ সময় ট্রাকের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হলেও চক্রের মূল হোতারা কৌশলে পালিয়ে যায়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. শফিয়ার রহমান (৩৩), সে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার খাড়ু ভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে এবং বাদল মিয়া (২২), রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের জনাব আলীর ছেলে।

পলাতক আসামিরা হলেন, ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের মৃত মোশারফ হোসেন খানের ছেলে মো. মিথুন হোসেন খান (৪০), মো,রানা মিয়ার ছেলে সাইদার রহমান (৩৭) এবং মো, আনছার আলীর ছেলে বাবুল হোসেন (৩৬)।

এ ব্যাপারে ডিমলা থানার এস আই পঙ্কজ কুমার বর্মন বাদী হয়ে মামলা নং-১২ তাং- ১৬/১২/২৫ ইং ধারা- ১৫ (১) (২) বালু মহাল ও মটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের পাশাপাশি নামীয় ৫ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬ জনের বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃত ট্রাক ও পাথরের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শওকত আলী সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অবৈধভাবে তিস্তানদী থেকে পাথর উত্তোলন ও পরিবহনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি