image
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

হোমনায় থানা হাজতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, হোমনা (কুমিল্লা)

কুমিল্লার হোমনায় প্রবাসীর স্ত্রী (দুই সতীনের) ঝগড়ার জেরে গাছের সাথে বেঁধে একজনকে নির্যাতন করে স্থানীয়রা।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং স্বপন নামে এক ব্যক্তি নির্যাতিতা গৃহবধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে পুলিশ তাকে থানা হাজতে আটকে রাখেন।

বৃহস্পতিবার, (১৮ ডিসেম্বর ২০২৫) ভোরে থানা হেফাজতে থেকেই ফ্যানের সাথে গলার ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় পুলিশ।নিহত গৃহবধূ হামিদা বেগম প্রকাশ ববিতা খাতুন (৩২) উপজেলার ঘনিয়ারচর গ্রামের সৌদি প্রবাসী খলিল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী।

এর আগে ১৭ ডিসেম্বর বুধবার সকালে ঘনিয়ারচর গ্রামে সতীন কোহিনুর আক্তারের সাথে ববিতার ঝগড়া বাঁধে ও কোহিনূরকে উপুর্যুপরি ছুড়িকাঘাত করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার পারিবারিক কলহের জেরে খলিল মিয়ার দুই স্ত্রী কোহিনুর আক্তার ও ববিতা খাতুনের মধ্যে প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ববিতা খাতুন কোহিনুর ও তার ৫ বছরের ছেলে সায়মনকে উপুর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে আহত করেন।

এই ঘটনায় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে ববিতাকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করে। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে থানা হাজতে নিয়ে আসনে।

অন্যদিকে আহত কোহিনূর আক্তার ও তার সন্তান সায়মনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয় এবং প্রবাসী খলিল মিয়ার ভাই স্বপন মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে ববিতাকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়।

এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি সার্কেল হোমনা) মো. আবদুল করিম সংবাদকে জানান, সতীন ও তার সন্তানকে ছুরিকাঘাতে আহতের ঘটনায় স্থানীয়রা ববিতাকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে-খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসাও দেন।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি