image
দশমিনা (পটুয়াখালী) : উপজেলায় আশ্রয়ন ও আবাসন প্রকল্পের জরাজীর্ণ ঘর -সংবাদ

দশমিনায় আশ্রয়ণ ও আবাসন প্রকল্পের ঘরগুলো ২৫ বছরেও সংস্কার হয়নি

বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে আশ্রয়ণ ও আবাসন প্রকল্পের আওতায় ৪২০ পরিবার ঘর পেয়েছিল। কথা ছিল, তাদের স্বাবলম্বী করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কিন্তু তা আজও আলোর মুখ দেখেনি। অপরদিকে প্রায় ২৫ বছরে ঘরগুলো সংস্কার না করায় ঝুরঝুরে হয়ে গেছে টিনের চাল, দরজা, জানালা। ফলে কি শীত, কি বর্ষা সব ঋতুতেই কষ্ট করছেন এখানকার বাসিন্দারা।

তারা জানালেন, একটু বর্ষা হলেই অনেক ঘরে পানি পড়ে মেঝে ভেসে যায়। ঘরের আসবাবপত্র, পরনের কাপড়-চোপড় ও প্রয়োজনীয় মালামাল ভিজে একাকার হয়ে যায়। আর কনকনে শীতে ঠান্ডা হাওয়া ভাঙা টিনের চাল আর জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরে ঢুকে যায়। ফলে ভাঙ্গা ঘরে বর্ষা ও হাড়ভাঙ্গা শীত উপেক্ষা করে অসহায় ও দুঃস্থ বাসিন্দাদের বসবাস করতে হচ্ছে।

উপজেলার দশমিনা ইউনিয়নের আরজবেগী আশ্রয়ণ প্রকল্পের সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজির হোসেন বলেন, প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়, সিডর, আইলা, মহাসেন, ফণিসহ প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগে আমাদের লড়াই করতে হয়। আশ্রয়ন প্রকল্পে থাকা মো. ফারুক (৩৮) বলেন, আমরা কি বলবো, এখানে ৪০ টি পরিবার বসবাস করি। মাত্র দুটি টিউবওয়েল আছে এবং খাবার পানির কষ্ট অনেক। প্রতি বছর শিশু ও বৃদ্ধারা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাওয়া দিনমজুর ও পূর্ব আলীপুর আশ্রায়ন প্রকল্পের সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক বাবুল হোসেন মৃধা বলেন, বিগত সরকারের দেওয়া এই ঘর পেয়ে আমরা আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছিলাম। আমরা স্বপ্ন বুনেছিলাম,এই ঘরে থেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাবলম্বী হবো। কিন্তু স্বাবলম্বী হওয়া তো দূরের কথা, এখন আমাদের কেউ আজ খোঁজ রাখে না। ঘরগুলো মেরামতের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করা হলেও আজও কেউ মেরামত করতে এগিয়ে আসেনি। আরজবেগী আশ্রয়নের লোকজন বিশুদ্ধ পানির অভাবে বিভিন্ন সময় পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় এবং ব্যারাকের ঘরগুলোর উপরের টিনের সাইনি পরিবর্তন করা দরকার। উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নে ‘আশ্রয়নের ঘরগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, বর্তমানে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় আশ্রয়নের ঘরগুলো এই মুহূর্তে মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। বরাদ্দ পেলেই ঘরগুলোতে মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। আশ্রয়ণ ও আবাসন প্রকল্পের ঘরগুলোর প্রায় অর্ধেক পরিবার অন্যত্র চলে গেছেন। বর্তমানে যে পরিবারগুলো বসবাস করছে তাদের ঘরের ছবিসহ সকল তথ্যাদি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়। আশ্রয়নের ঘরগুলো সেমিপাকা করে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে, বরাদ্দ পেলে ঘরগুলো সংস্কার করা হবে।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি